Goutam Deb

Goutam Deb: সিন্ডিকেট-রাজ গুঁড়িয়ে দেওয়ার বার্তা গৌতমের

অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘সত্যি দূর করার চেষ্টা করলে ভাল। তবে আটমাস প্রশাসক বোর্ডে কাজ করার সময় সে সব গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা কিছু দেখিনি।’’

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৪০
Share:

গৌতম দেব। —ফাইল চিত্র।

মেয়র নির্বাচিত হয়েই ‘সিন্ডিকেট-রাজ’, ‘দালাল-রাজ’ চলতে দেবেন না বলে বার্তা দিলেন গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পদে মনোনয়ন জমা দিয়ে এ কথা জানান তিনি। একই সঙ্গে জনসংযোগে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকার সময় শুরু করেছিলেন ‘টক-টু-চেয়ারম্যান’। সেটাই এ বার ‘টক-টু-মেয়র’ করে চালিয়ে যাবেন, যাতে সিন্ডিকেট-রাজ বা অন্য সমস্যার ক্ষেত্রে মানুষ সরাসরি জানাতে পারে। বিরোধীদের প্রশ্ন, এই সিন্ডিকেট-রাজ ভাঙা কি এত সহজ হবে? নতুন মেয়রের সদিচ্ছা কতটা, তিনি কি তা পারবেন? কেন না, ভোটের পরই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে, বিশেষ করে এনজেপি এলাকায় দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল হয়েছে। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনা খুব শক্ত বলেই মনে করছে বিরোধীরা।

Advertisement

গৌতম এ দিন বলেন, ‘‘দালাল-রাজ, সিন্ডিকেট-রাজ আমি খতম করতে চাই। কোনও মধ্যস্থতাকারী থাকবে না। টেন্ডারে সিন্ডিকেট কাউকে করতে দেব না। আমি দাঁড়িয়ে থেকে তা গুঁড়িয়ে দেব পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে। গুন্ডা, বদমায়েশ, মাফিয়া বহু দেখেছি। ভয় পাই না। যারা করার চেষ্টা করছে তাদের জেলের ভিতরে পাঠাব। কেউ আটকাতে পারবে না।’’ তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীও তা চান। অসুবিধা হলে তিনি সরাসরি জানাতে বলেছেন। কাজের গুণমান এজেন্সি দেখবে। সমস্যা হলে ঠিকাদারকে ঠিক করতে হবে। কাজ ফেলে রাখলে শো-কজ ও কালো তালিকাভুক্ত করা হবে।

অবৈধ নির্মাণ প্রসঙ্গে জানান, বড় বাণিজ্যিক নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম হলে ‘আন্ডার-টেবিল’ বোঝাপড়া হয়। সেগুলি আগে রোখা হবে। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের কটাক্ষ, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেস, সিন্ডিকেট, দুর্নীতি, মাফিয়ারাজ সমার্থক শব্দ। গৌতম দেবের ভাবনাকে সমর্থন করেও বলতে হচ্ছে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়িতে পরাজিত হলে সিন্ডিকেট-রাজ, দুর্নীতি, মাফিয়ারাজের কথাই বেশি উঠেছে।’’ তাঁর দাবি, যেগুলি করবেন বলছেন তা কতটা পারছেন তা ভবিষ্যৎ বলবে। প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, ‘‘সত্যি দূর করার চেষ্টা করলে ভাল। তবে আটমাস প্রশাসক বোর্ডে কাজ করার সময় তখন সে সব গুঁড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা কিছু দেখিনি।’’ কংগ্রেসের সুজয় ঘটকের কথায়, ‘‘তিনি পারলে সঙ্গ দেব। আমরাও নজর রাখব কথা ও কাজের ফারাক হচ্ছে কি না।’’

Advertisement

সিন্ডিকেট-রাজ নিয়ে তৃণমূলের মধ্যেও কোন্দল রয়েছে। এনজেপি এলাকার এক নেতাকে বিধানসভার আগে দল বার করে দেয়। এমনকি, গ্রেফতারও হন। পরে জামিন পান। অপর পক্ষ প্রাক্তন কাউন্সিলরের গোষ্ঠীর সঙ্গে তাঁর গোলমাল
চলছেই। শিলিগুড়ি এবং লাগোয়া ফুলবাড়ি এলাকায় জমির কারবার থেকে কারখানাগুলিতে শাসক
দলের সিন্ডিকেট-রাজের অভিযোগও আছে।

এ দিন পুরসভার সভাকক্ষে কাউন্সিলরদের নিয়ে পরিচয়পর্ব এবং প্রাথমিক কথাবার্তার সময় গৌতম দেবের পাশে দলের দার্জিলিং জেলার চেয়ারম্যান অলক চক্রবর্তী এবং জেলা সভাপতি পাপিয়ে ঘোষকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। যদিও সরকারি বৈঠক নয় এটি। তবু তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অলক বলেন, ‘‘নতুন বোর্ড গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক বোর্ডের সদস্য রয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন