দায়িত্ব ভাগ চান গৌতম

বৃহস্পতিবার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হল ঘরে বৈঠক করে তা জানিয়ে দেন পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৩০
Share:

মহকুমার তিনটি এবং লাগোয়া ফুলবাড়ি-ডাবগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে দলকে পরিচালনার দায়িত্ব দ্রুত জেলা নেতৃত্বের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার জেলা নেতৃত্বকে নিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হল ঘরে বৈঠক করে তা জানিয়ে দেন পর্যটনমন্ত্রী তথা তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি গৌতম দেব। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা করেছেন এ দিন। তার মধ্যে নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির দায়িত্ব তিনি নিজেই রাখবেন। বাকিগুলোতে কাকে কোন বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে আবার আলোচনা করে তার পরেই দায়িত্ব ভাগ করতে চান। কর্মীদের কাছ থেকেও জানতে চান, কে কী দায়িত্ব নিতে চাইছে।

অনেকে তাড়াহুড়ো করতে না চাইলেও মন্ত্রী জানিয়ে দেন দ্রুত দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। তার মধ্যে এদিন কৃষ্ণ পাল জানান তাঁকে শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দিলে তিনি জেলা সভাপতির পরামর্শ নিয়ে দায়িত্ব নিয়েই চালাবেন। নকশালবাড়ি-মাটিগাড়া ও ফাঁসিদেওয়া-খড়িবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে তা নিয়েও নানা নাম উঠে এসেছে। রয়েছে পুরসভার বিরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের নামও।

Advertisement

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘‘দায়িত্ব ভাগ করে দিতে চাইছি। আগেও বলেছি। অনেকে ইচ্ছুক নন। তবে দায়িত্ব নিতে হবে। এক মাসের মধ্যেই আলোচনা করে বিধানসভা ভিত্তিতে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’

আজ, শুক্রবার বাঘা যতীন পার্ক থেকে ‘ঐক্য-সম্প্রীতি’কে সামনে রেখে মিছিলের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদেই এই মিছিল। কৃষ্ণবাবুর অভিযোগ, ‘‘বাংলার মানুষ রাজস্থান, গুজরাতের মতো ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে খুন হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন ভাষা-ধর্মের মানুষের এক সঙ্গে বসবসারে পরম্পরা নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধেই মিছিল।’’ ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে। মহকুমার ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত, শহরে ওয়ার্ডগুলো সমস্ত ক্ষেত্রেই কর্মীদের এই দুই কর্মসূচিতে সামিল হতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিজ নিজ এলাকায় তারা পালন করবেন।

সেই সঙ্গে পুরসভার আন্দোলন কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ২১ ডিসেম্বর থেকে ইতিমধ্যেই কয়েকটি ওয়ার্ডে পুরসভার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম, মেয়রের পদত্যাগের দাবি তুলে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সমস্ত ওয়ার্ডে যুব, মহিলা সংগঠন এবং দলের তরফে আন্দোলন হবে। পরে টিএমসিপি, যুব সংগঠন, মহিলা সংগঠন এবং আইএনটিটিইউসি’র তরফে পুরসভায় গিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান, স্মারকলিপি প্রদানও হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি বিধাননগরে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন হবে। পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, পর্যটনমন্ত্রীর থাকার কথা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement