হোম ঘুরে নানা প্রশ্ন

বাবুরহাটে মেয়েদের সরকারি হোমের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জেলাশাসকের স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি ‘স্পাউস কমিটির’ সদস্য হিসেবে শনিবার দুপুরে কোচবিহার শহর লাগোয়া বাবুরহাটের শহিদ বন্দনা স্মৃতি হোমে যান জেলাশাসক পি উল্গানাথনের স্ত্রী মেঘা মেহেরা সহ তিন জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:৩৮
Share:

পরিদর্শন: স্পাউস কমিটি। নিজস্ব চিত্র

বাবুরহাটে মেয়েদের সরকারি হোমের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন জেলাশাসকের স্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি ‘স্পাউস কমিটির’ সদস্য হিসেবে শনিবার দুপুরে কোচবিহার শহর লাগোয়া বাবুরহাটের শহিদ বন্দনা স্মৃতি হোমে যান জেলাশাসক পি উল্গানাথনের স্ত্রী মেঘা মেহেরা সহ তিন জন। হোমের পরিকাঠামো ঘুরে দেখেন তাঁরা। মেঘাদেবী বলেন, “পরিচ্ছন্নতা, স্যানিটেশনের ব্যাপারে এখানে নানা সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সমাধানের পরিকল্পনা হচ্ছে।” তিনি জানান, কর্মীর সমস্যাও রয়েছে।

Advertisement

স্পাউস কমিটির সদস্য খোদ জেলাশাসকের স্ত্রীর ওই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন হোম কর্তারা। তাদের দাবি, বিশাল এলাকা জুড়ে তৈরি হোমে সাফাইকর্মী আছেন একজন। তাতেই কিছু সমস্যা হচ্ছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন অবশ্য বলেছেন, “ কমিটির প্রস্তাব দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই হোমে খেলার সরঞ্জাম কেনা, খাবারের তালিকায় বৈচিত্র্য আনা, আবাসিকদের বৌদ্ধিক, মানসিক বিকাশের মত ব্যাপারে জোর দিয়েছেন তাঁরা। দোতলায় আবাসিকদের টিভির ডিস কেনার প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। কিছু জিনিসপত্র ব্যাক্তিগত উদ্যোগে দেওয়ার কথাও জানান। প্রশাসন সূত্রের খবর, পর্যায়ক্রমে জেলার বাকি হোমগুলির অবস্থাও খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে কলকাতায় আয়োজিত প্রশাসনিক বৈঠকে প্রতিটি জেলার পদস্থ কর্তাদের স্ত্রীদের নিয়ে স্পাউস কমিটি তৈরির নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার ভিত্তিতেই সম্প্রতি কোচবিহারে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। ওই তিনজনের মধ্যে কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথনের স্ত্রী মেঘাদেবী ছাড়াও পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবালের স্ত্রী মেঘনা জায়সবাল ও কোচবিহার বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও ভাস্কর জেভির স্ত্রী লিনা এমএন রাজ ও রয়েছেন। শনিবার জেলাশাসকের দফতরে বৈঠকের পরেই সমাজকল্যাণ দফতরের আওতাধীন বাবুরহাটে মেয়েদের ওই হোম দেখতে যান তাঁরা।

Advertisement

প্রশাসনের এক কর্তা জানান, হোমটি সমাজকল্যাণ দফতরের আওতাধীন। আবাসিক সংখ্যা ৫৫ জন। বছর দুয়েক আগে হোমের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। কয়েকমাস আগে অন্য আবাসিকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তা নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়। সম্প্রতি মাথাভাঙার যে হোম নিয়ে শোরগোল হয়েছে। তাদের সেখানেও যাওয়ার কথা রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন