স্নাতক স্তরের বিভিন্ন বিষয়ে আসন সংখ্যা বাড়ালেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালি সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা ঘোষণা করেন। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পথ অবরোধ ও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। পুলিশের হস্তক্ষেপে বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ উপাচার্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে স্নাতক স্তরের অনার্সের বিভিন্ন বিষয়ে আসন বাড়ানোর আশ্বাস দিলে পথ অবরোধ ও অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বাড়ানো আসন সংখ্যা ছাত্র পরিষদের দাবি মতো গত শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান অনুযায়ী না হওয়ায় এবং স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য আবেদনকারী পড়ুয়াদের স্বচ্ছ মেধাতালিকা প্রকাশ না করায় পড়ুয়াদের ক্ষোভ পুরোপুরি কাটেনি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ৬ জুলাইয়ের মধ্যে এই দাবি মানা না হলে ছাত্র পরিষদের তরফে ফের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবস্থান বিক্ষোভে বসার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনিল ভুঁইমালির দাবি, রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হলেও সার্বিক পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু পঠনপাঠনের স্বার্থে কর্তৃপক্ষ স্নাতক স্তরের আসন বিভিন্ন বিষয়ে কমাতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র পরিষদের দাবি মেনে কলা বিভাগের অনার্সের সমস্ত বিষয়ে ১০টি করে, বিজ্ঞান বিভাগের সমস্ত বিষয়ে ৫টি করে আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা বুধবার তাঁদের দাবি নিয়ে উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর পর অতিরিক্ত জেলাশাসককে স্মারকলিপি জমা দেন। একই দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থান বিক্ষোভ করে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। শুক্রবার সকালের মধ্যে কর্তৃপক্ষ উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিলে ওই রাতে তাঁরা অবস্থান তোলেন। কিন্তু এ দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও আশ্বাস না দিলে ফের তাঁরা পথ অবরোধ ও অবস্থানের কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ছাত্র পরিষদের লাগাতার আন্দোলনের চাপে অবশেষে কর্তৃপক্ষ আসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলে অবরোধ ওঠে।