Illegal Construction

‘বেআইনি’ বহুতল নিয়ে সরব হামরো পার্টি

বুধবার দার্জিলিঙে প্রাক্তন পুরপ্রধান ছাড়াও দলের কিছু পুর প্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন, পাহাড়ে সাত-দশ তলা ভবন তৈরি চলছে। সবই বাণিজ্যিক কাজের জন্য তৈরি হচ্ছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৪ ০৭:৪১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

লোকসভা ভোটের আগে, দার্জিলিঙের বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ফের সরব হল হামরো পার্টি৷ পুরসভার বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ তো বটেই, পাহাড়ে প্রোমোটার, বিল্ডারদের একাংশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে মামলার হুমকি দিয়েছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান রীতেশ পোর্টেল।

Advertisement

বুধবার দার্জিলিঙে প্রাক্তন পুরপ্রধান ছাড়াও দলের কিছু পুর প্রতিনিধি অভিযোগ করেছেন, পাহাড়ে সাত-দশ তলা ভবন তৈরি চলছে। সবই বাণিজ্যিক কাজের জন্য তৈরি হচ্ছে। হোটেল, দোকান তৈরির কথা মাথায় রাখা হচ্ছে। কলকাতা ও বাইরের লোকেদের তা লিজে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রোমোটার বা লিজ হোল্ডারের কিছু হবে না। সাধারণ মানুষ মরবে।

রীতেশ বলেন, ‘‘আমাদের সময়ে বেআইনি বাড়ি থেকে ভবনের বেআইনি অংশ চিহ্নিত করা হয়েছিল। ভাঙার কাজও শুরু হয়। এখন আর দার্জিলিঙে এ সব হয় না। ৫০ জন বিল্ডারের একটি তালিকা তৈরি করেছি। প্রয়োজনে, আমরা এদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থে মামলা করব।’’ তিনি জানান, যোশিমঠের পর গার্ডেনরিচেও বহুতলে বিপত্তি দেখা গেল। বলেন, ‘‘বেআইনি এবং অবৈজ্ঞানিক ভাবে চললে বিপদ আসবেই। দার্জিলিং নিয়ে আমাদের আশঙ্কাটা সেখানেই।’’

Advertisement

পুর আইন অনুসারে দার্জিলিং শহরে ১১.৫ মিটার উচ্চতার মধ্যেই বাড়ি তৈরি করতে হয়। বাকি মিরিক, কালিম্পং বা কার্শিয়াঙেও একই নিয়ম রয়েছে। অনুমতিক্রমে সরকারি কয়েকটি ভবন ১৩ মিটারের আশেপাশে রয়েছে। অভিযোগ, গত তিন দশক ধরে দার্জিলিং-সহ পাহাড়ের প্রতিটি শহরে বেআইনি নির্মাণ, বহুতল তৈরি হয়েছে। শুধু উচ্চতা নয়, ভবনের নকশা পুরসভা থেকে অনুমোদন বা পাশ না করে কাজ হয়েছে। পাহাড়ের ঢাল কেটে বাড়ি, বাণিজ্যিক বহুতল তৈরি হয়েছে। শুধু বাজার, দোকান, হোটেল, রেস্তরাঁ বা অফিস এলাকা নয়, ব্যক্তিগত বাড়ির ক্ষেত্রেও আইন মানা হয়নি। পাহাড়ের ঢালে এই পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়ানক বলেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন। গত ২০২২ সালে হামরো পার্টির বোর্ডের সময় ৪৫টি বেআইনি নির্মাণ দার্জিলিঙে চিহ্নিত হয়েছিল। দার্জিলিং পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র ঠাকুরি হামরো পার্টির অভিযোগ নিয়ে কিছু বলেননি। জিটিএ প্রধান অনীত থাপা বলেন, ‘‘কে, কী বললেন তা নিয়ে বক্তব্য নেই। বেআইনি কাজ হবে না। পুরসভা নিশ্চয়ই নজরদারি বাড়াবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন