ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত দুই আবাসিক ছাত্র

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের দুই ছাত্রের শরীরে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়েছে। সম্প্রতি তাঁদের জ্বর নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট দিলে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার বিষয়টি জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৬ ০২:৪৭
Share:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের দুই ছাত্রের শরীরে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার জীবাণু ধরা পড়েছে। সম্প্রতি তাঁদের জ্বর নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেখান থেকে রক্ত পরীক্ষা রিপোর্ট দিলে ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ার বিষয়টি জানা গিয়েছে।

Advertisement

এই খবরে উদ্বিগ্ন হস্টেলগুলির ছাত্রছাত্রী এবং কর্তৃপক্ষ। হস্টেলের নিকাশি নিয়মিত পরিষ্কার না হওয়া, আগাছার জঙ্গলে হস্টেল চত্বর এবং লাগোয়া এলাকা ভরে থাকা, হস্টেল লাগোয়া জঙ্গলে ভরা নিচু জমিতে জল জমে থাকার জেরেই হস্টেলগুলি মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রের এই খবর জানতেনই না বলে জানিয়েছেন উপাচার্য সোমনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানতাম ওদের ভাইরাল ফিভার হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত আমাকে কেউ বিষয়টি জানাননি। খোঁজ নিয়ে দেখছি। তবে হস্টেলের নিকাশি পরিষ্কার করা, জঙ্গল সাফ করতে বাস্তুকার ও এস্টেট অফিসারকে কয়েকদিন আগেই জানানো হয়েছে।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, রসায়নের ওই দুই ছাত্র কয়েকদিন আগে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ক্লাসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সঞ্জয় দাস এবং প্রশান্ত মণ্ডল নামে প্রথম বর্ষের ওই দুই ছাত্রকে গত শনিবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছিল। হাসপাতালের শয্যাতেই একদিন তারা পরীক্ষা দেন। মঙ্গলবার প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকের সম্মতিতে তাঁরা হস্টেলে আসেন আগের দিন রাতে। পরীক্ষার পর হাসপাতালে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার হস্টেলে কাটিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে কর্তৃপক্ষকে কিছু না বলে তাঁরা বাড়ি চলে গিয়েছেন বলে সতীর্থরা জানিয়েছেন। তাতে চিন্তায় পড়েছেন হস্টেল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

হস্টেলের সুপার জয়দীপ সেন বলেন, ‘‘ওই দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। হস্টেলের ছাত্রছাত্রীদের রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

সবিস্তার পড়তে ক্লিক করুন।

এ দিন মাটিগাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে গিয়ে র‌্যাপিড কিট দিয়ে ছাত্রদের রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। তবে তাদের কাছে পর্যাপ্ত কিট না থাকায় ১০০ জনের রক্ত পরীক্ষার করানো সম্ভব হয়েছে। বাকিদের পরীক্ষা শুক্রবার, শনিবার করানো হবে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

দার্জিলিঙের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিত বিশ্বাস জানিয়েছেন, ‘‘ওই দুই ছাত্র মালদহে নিজেদের বাড়ি চলে গেলেও কোথায় থাকেন তা খোঁজ নিয়ে জানা হবে। দুটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। ওঁদের চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়া এবং তাঁদের কাছ থেকে অন্যদের মধ্যে যাতে না ছড়ায় তা দেখা।’’ হস্টেল থেকে জানা গিয়েছে, ওই দুই ছাত্র জুন মাসে বাড়ি গিয়েছিলেন। পরীক্ষার আগে হস্টেলে ফেরেন। তার দিন ১৫ পরেই জ্বরে আক্রান্ত হন।

উপাচার্য জঙ্গল কেটে হস্টেল চত্বর সাফসুতো রাখার কথা বলার এক সপ্তাহ পরেও কোনও সাফাই হয়নি বলে জানিয়েছেন আবাসিকরা। এ দিন হস্টেল চত্বরে গিয়েও তা দেখা গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসার কমল ঘোষ জানান, প্রতিদিনই ১২ থেকে ১৪ জন কর্মী ক্যাম্পাস সাফাইয়ের কাজ করছেন। হস্টেল চত্বরে আগাছা থাকলে তা দুই এক দিনের মধ্যেই সাফ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তাঁর আশ্বাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement