গৃহহীনেরা ‘ঠিকানা’ পাবেন কোচবিহারে

অন্য একাধিক শহরের মত কোচবিহারেও খোলা আকাশের নীচে বা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, ফুটপাথ, মন্দির চত্বরে বহু গৃহহীন আবাসিক রাত কাটান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

ঠাঁই: ভবঘুরেদের জন্য তৈরি বাড়ি। নিজস্ব চিত্র

‘ঠিকানা’ পাচ্ছেন কোচবিহারের গৃহহীন ভবঘুরেরা। শহরের বিবেকানন্দ ষ্ট্রিট এলাকায় তাঁদের জন্য তৈরি হয়েছে প্রাসাদোপম বাড়ি। তারই পোশাকি নাম ‘ঠিকানা’। এখন সেখানে চলছে আসবাবপত্র কেনার তোড়জোড়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ইংরেজি নতুন বছরের আগেই গৃহহীনদের জন্য তৈরি ওই বাড়িটি প্রাক-নববর্ষের উপহার হিসেবে চালুর সম্ভবনা রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ বলেন, “যা পরিকাঠামো রয়েছে তাতে একশো জন থাকতে পারবেন। থাকতে আগ্রহী ভবঘুরে গৃহহীনদের তালিকা তৈরির জন্য একটি সমীক্ষা করা হবে।”

Advertisement

পুরসভা সূত্রের খবর, এনইউএলএমের (ন্যাশনাল আরবান লাইভলিহুড মিশন) ‘শেল্টার ফর আরবান হোমলেস’ প্রকল্পে গত বছর ওই বাড়িটি তৈরির অনুমোদন মেলে। তারপরেই প্রায় এক কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দেই শুরু হয় ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল বাংলোর আদলে বাড়িটি তৈরির কাজ। চার তলা ওই বাড়িতে নীচের তলায় অপেক্ষাকৃত বয়স্ক পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক থাকার ব্যবস্থা থাকছে। থাকবে হলঘর। বাকি দুটি তলায় থাকবে ডরমেটরি। একদম উপরের তলায় চারটি পৃথক ঘর। চেয়ারম্যান জানান, উদ্বোধক হিসেবে থাকছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই দ্রুত ওই বাড়িটির উদ্বোধন করা হবে।

অন্য একাধিক শহরের মত কোচবিহারেও খোলা আকাশের নীচে বা স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, ফুটপাথ, মন্দির চত্বরে বহু গৃহহীন আবাসিক রাত কাটান। শীতে, বৃষ্টিতে তাঁদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। বাড়িটি চালু হলে তাদের ওই দুর্ভোগ ঘুচবে বলে আশা। শহর ঘুরে পুরসভার একটি দল আগ্রহীদের তালিকা তৈরিতে সমীক্ষা করবে। প্রাথমিকভাবে ২৪ জনের একটি তালিকাও পুরসভার হাতে এসেছে। সমীক্ষার পরেই অবশ্য সবকিছু পুরোপুরি চূড়ান্ত হয়ে যাবে। পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রকল্প অনুযায়ী চালুর পর দু’বছর যাঁরা বাড়িতে থাকবেন, তাঁদের খাবারের বরাদ্দও মিলবে। এ জন্য রাঁধুনি, প্রহরী-সহ দেখভালের কর্মীদের বেতনের খরচও দেওয়া হবে। তাতে বাড়তি ভরসা মিলেছে।

Advertisement

পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের মহানন্দ সাহা বলেন, “আরও আগে বাড়িটি চালু করা দরকার ছিল।” বিজেপির কোচবিহার শহর সভাপতি বিরাজ বসু বলেন, “যারা সেখানে থাকবেন তাদের দেখভাল সুষ্ঠুভাবে নিশ্চিত করা দরকার। প্রকৃত গৃহহীনরাই যাতে সেখানে থাকার সুযোগ পান তাও দেখতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন