Domestic Violence

সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি, গলায় চাকু চালিয়ে খুনের চেষ্টা! ধৃত স্বামী

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিকরগাছ গ্রামের জরিনা খাতুনের সঙ্গে সুদামগঞ্জ গ্রামের মহম্মদ গুলজারের বিয়ে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম ছিল দু’জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

ফাঁসিদেওয়া (শিলিগুড়ি) শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২৩ ২০:৩৩
Share:

হাসপাতালে জরিনা খাতুন। —নিজস্ব চিত্র।

সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারার পর তাঁর গলায় চাকু চালিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়া এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের নিকরগাছ গ্রামের জরিনা খাতুনের সঙ্গে সুদামগঞ্জ গ্রামের মহম্মদ গুলজারের বিয়ে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে প্রেম ছিল দু’জনের। দুই পরিবারের সহমতেই চার হাত এক হয়। জরিনার অভিযোগ, বিয়ের পর মাস তিনেক ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তার পর শুরু হয় অত্যাচার। জরিনার বাপের বাড়ির অভিযোগ, কয়েক মাস আগেও তাঁদের মেয়েকে বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করেন জামাই।

গুলজার পেশায় তিনি গাড়ি চালক। বিয়েতে যৌতুক হিসাবে বিভিন্ন সামগ্রী-সহ প্রায় চার লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়ের কিছু দিন পর থেকে আরও টাকার দাবি করেন গুলজার বলে অভিযোগ জরিনার বাপের বাড়ির লোকজনের। তাঁদের দাবি, কিছু দিন আগেই তিনি এক লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন। সেটা দিতে না পারায় শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে তিনি মারধর শুরু করেন। খবর পেয়ে জরিনার পরিবারের লোকেরা এসেছিলেন মেয়ের কাছে। তাঁদের উপরও গুলজারের পরিবারের সদস্যরা আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি মেয়েকে উদ্ধার করে ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।

Advertisement

এর পর জরিনার বাপের বাড়ি থেকে ফাঁসিদেওয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। শনিবার তাঁকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। হাসপাতালের শয্যায় শুয় জরিনা বলেন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই অত্যাচার বাড়ে। আমার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিত। এর আগে এক বার আমায় বিষ খাইয়ে খুনের চেষ্টা করে ও। সে বারও কোনও মতে বেঁচে যাই। এ বার পেটে লাথি মারতে থাকে ও। আমার গলায় চাকু চালিয়ে দেয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন