Death

Murder: স্ত্রী এটিএম কার্ড না দেওয়ায় ছেলেকে খুন! মালদহে অভিযুক্ত বাবাকে খুঁজছে পুলিশ

তালগাছি এলাকার বাসিন্দা সাবিনা খাতুনের দাবি, এটিএম কার্ড না দেওয়ায় তাঁর স্বামী মোক্তার হোসেন তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২২ ১৭:১৭
Share:

টাকা না পেয়ে ছেলেকে খুনের অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। প্রতীকী ছবি।

স্ত্রীর কাছে এটিএম কার্ড চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রী সেই এটিএম কার্ড না দেওয়ায় নিজের ১০ মাসের সন্তানকে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মশালদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের তালগাছি এলাকার এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বামী, শ্বশুর এবং শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করেন তিনি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর শ্বশুর এবং শাশুড়িকে আটক করেছে। তবে স্বামী এখনও পলাতক।
তালগাছির বাসিন্দা সাবিনা খাতুনের অভিযোগ, এটিএম কার্ড না দেওয়ায় তাঁর স্বামী মোক্তার হোসেন প্রথমে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দেন। শিশুপুত্রকেও তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সাবিনা জানিয়েছেন, সোমবার তিনি জানতে পারেন তাঁর মাস দশেকের ছেলে মহম্মদ আরিফের মৃত্যু হয়েছে। তাকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ সাবিনার। এ বিষয়ে স্বামী ছাড়াও শ্বশুর মহম্মদ ইরফান এবং শাশুড়ি সানোয়ারা বিবির বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। পুলিশ ইরফান এবং সানোয়ারাকে আটক করেছে। পলাতক মোক্তার। পুলিশ আরিফের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে গিয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে সাবিনার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মোক্তারের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বাপেরবাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য সাবিনাকে চাপ দিতেন মোক্তার। এর মধ্যেই সাবিনার বাবা তাঁর মেয়ের নামে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে জমা করেন। সাবিনার অভিযোগ, ‘‘আমার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা বাবা রেখে দিয়েছিল। সেই টাকা নেওয়ার জন্য আমাকে স্বামী, শ্বশুর এবং শাশুড়ি বার বার চাপ দিত। এটিএম কার্ড না দেওয়ায় আমাকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। আমার কোলের সন্তানকেও কেড়ে নেওয়া হয়। আজ জানতে পারলাম আমার ছেলেটা মারা গেছে। ওরা আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আমি ওদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন