সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের গোড়া থেকেই বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ফুলবাড়িতে অভিবাসন কেন্দ্র হতে চলেছে। বর্তমানে শিলিগুড়ি লাগোয়া ফুলবাড়ির সীমান্ত দিয়ে শুধুমাত্র পণ্য আদানপ্রদান চলে। অভিবাসন কেন্দ্র চালু হলে দু’দেশের বাসিন্দারা ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। চলতি মাসের গোড়ায় রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় ফুলবাড়ি সীমান্ত পরিদর্শন করেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কতৃর্পক্ষের (এসজেডিএ) বাস্তুকারেরা।
পরিদর্শনের পরে সচিবরা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ৩১ মে’র মধ্যে অভিবাসন কেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করতে হবে। প্রশাসন সূত্রের খবর, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্য সরকার ফুলবাড়িতে অভিবাসন চালু করে দিতে চাইছে। সে কারণেই চলতি মাসের গোড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ফুলবাড়িতে শীর্ষ পর্যায়ের পরিদর্শন হয়েছে।
এসজেডিএ-এর সিইও আর বিমলা বলেন, ‘‘চলতি মাসের মধ্যেই আমাদের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ফুলবাড়ি শুল্ক দফতরেরই অভিবাসন কেন্দ্র চালু করা হবে। সেই মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে।’’
ফুলবাড়ি সীমান্তে শুল্ক দফতরের একটি দেড় তলা ভবন রয়েছে। ওই ভবনটি তিন তলা করা হবে। নীচে অভিবাসন কেন্দ্র এবং তিন তলায় পুলিশ ব্যারাক হবে। দ্বিতীয় তলে শুল্ক দফতরের কার্যালয় হবে। আপাতত, শুল্ক দফতরকে দেড় তলায় স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিবাসন কেন্দ্রের পরিকাঠামোও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তবে সীমানা প্রাচীর-সহ শেষ পর্যায়ের কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সেই কাজই চলতি মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসজেডিএ, সূত্রে জানা গিয়েছে অভিবাসন কেন্দ্রের পরিকাঠামো তৈরি করতে প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
ব্যুরো অব ইমিগ্রেশনের অফিসাররাও ফুলবাড়িতে সে দিনের পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন। দফতর সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার থেকেও অভিবাসন কেন্দ্র খোলার যাবতীয় অনুমোদন চলে এসেছে। বাংলাদেশের দিকেও অভিবাসন কেন্দ্র তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ে তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। নেপাল বাংলাদেশ, ভূটানকে এই সড়ক যুক্ত করবে। ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই সড়কের বাংলাদেশে ঢুকবে। সে কারণেই দ্রুত অভিবাসন চালু করে দিতে সরকারপ উদ্যোগী হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।