রাজ্য সরকারের তরফে তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন জিটিএ-র অধীনে কর্মরত জনমুক্তি অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা। সেই সঙ্গে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন তারা। সংগঠনের নেতৃত্বের অভিযোগ, জিটিএ ছাড়া রাজ্যের অন্যত্র প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মী নেই। সে কারণে তাদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি রাজ্য সরকার ভাবেনি। তাতে এখন থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মীদের সমান বা তাদের থেকে বেশি বেতন পাবেন তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। সেটা কী করে সম্ভব, সেই প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনের নেতৃত্বরা।
জনমুক্ত অস্থায়ী কর্মচারী সংগঠনের মুখপাত্র দীপক শর্মা বলেন, ‘‘রাজ্যের অর্থ দফতর গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে অন্য সুযোগ সুবিধার সঙ্গে ক্যাজুয়াল কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি জানানো হয়েছে। শুধু মাত্র তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মীদের জন্য ওই সুবিধা দেওয়া হল। প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মীদের বিষয়টি সেখানে কিছু উল্লেখ করা নেই। জিটিএ বাদে রাজ্যের অন্যত্র এ ধরনের ক্যাজুয়াল কর্মী নেই বলে তা নজরে আসেনি মনে হচ্ছে।’’
সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, জিটিএ এলাকায় ৫৩২১ জন ক্যাজুয়াল কর্মী রয়েছেন। তার মধ্যে ৫ শতাংশ প্রথম এবং দ্বিতীয় শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মী। ক্যাজুয়াল কর্মীদের নিয়মিত করার দাবিতে ২০০৭ সাল থেকে আন্দোলন হয়। ২০১১ সালে সমস্ত ক্যাজুয়াল কর্মীদের ‘পে ব্যান্ড’-এর অধীনে আনা হয়। বর্তমানে তৃতীয় শ্রেণির কর্মীরা ৫ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ১১ হাজার পর্যন্ত বেতন পান। যা বাড়িয়ে করা হচ্ছে ন্যূনতম ১১৫০০ এবং সর্বোচ্চ ২২৫০০ টাকা। চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা এখন ৭ হাজার থেকে সাড়ে ৮ হাজার টাকা পান। তা বাড়িতে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে জানান সংগঠনের মুখপাত্র। অথচ বর্তমানে প্রথম শ্রেণির ক্যাজুয়াল কর্মীরা ২১-২৫ হাজার টাকার মধ্যে বেতন পান। তাদের বেতন বাড়ানো না হলে সমস্যা হবে।