প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের চ্যালেঞ্জ ভারতের।
মেয়েদের সাফ কাপে মঙ্গলবারই অভিযান শুরু হচ্ছে সস্মিতা মালিকদের। চার নম্বর সাফ কাপের তাজ জেতার দৌড়ে যাঁদের ফেভারিট ধরা হচ্ছে।
ভারতের কোচ সাজিদ ইউসুফ দর বলেছেন, ‘‘আমরা তৈরি। দলের মেয়েরা সেরাটা দেওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে।’’
তবে ভারতের মেয়েদের মাঠে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে সস্মিতাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কে কাঁটা হতে পারে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ৮-০ গোলে ভূটানকে উড়িয়ে বুঝিয়ে দিল নেপাল।
এর আগে তিন বার ফাইনালে ভারতের কাছেই হেরেছে নেপাল। শেষ ২০১৪ সালে ৬-০ গোলে। এ বারও ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম দাবিদার।
ভারতের সঙ্গে গ্রুপে আছে বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান। পাকিস্তান এবার খেলছে না। সেমিফাইনালের আগে ভারতের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই নেপালের।
সোমবার শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নেপালের স্ট্রাইকার সবিত্রা ভান্ডারির একারই ছ’গোল। একটি করে গোল শর্মিলা থাপা এবং কৃষ্ণা খাতরির।
ভুটানের কোচ সাং জি লি অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন, দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল নিয়ে তার ধারণা ছিল না। হার থেকে তিনি শিখছেন। তা ছাড়া দলে যাঁরা খেলছেন অধিকাংশই ১৪-১৭ বছরের জুনিয়র ফুটলার।
এ দিন সকালে রানিডাঙার মাঠে ভারতের সঞ্জু, সঙ্গীতাদের অনুশীলন করান কোচ সাজিদ ইউসুফ দর। গা ঘামানোর পাশাপাশি দুই দলে ভাগ করে ম্যাচ প্র্যাকটিসও করান তিনি।
পরে আক্রমণে উঠে কী করে ফিনিশিং করতে হবে তা নিয়ে অনেকক্ষণ অনুশীলন করান।
গোলে অদিতি চৌহ্বানকে বারবার পরখ করেন। দুপুরে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নেপাল-ভুটানের ম্যাচ দেখতেও যান তিনি। সোমবার হোটেলে দলের ফুটবলারদের টিম মিটিং করেন অনেকক্ষণ। প্রথম একাদশে সস্মিতা মালিক, সঞ্জুদের সঙ্গে কারা থাকবেন এ দিনই তা ঠিক করে নিয়েছেন।
এ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের গ্রুপে থাকা মলদ্বীপ ৫-২ গোলে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। তার মধ্যে তিনটি গোলই পেনাল্টি থেকে। যা নিয়ে ম্যাচের শেষে আফসোস করতেও দেখা গিয়েছে শ্রীলঙ্কার কোচ মহম্মদ রত্নম জসমিরকে।
তিনি বলেন, ‘‘পেনাল্টিতে তিনটি গোল হওয়টাই আমাদের কাছে ম্যাচে হারের বড় কারণ। প্রথমার্ধে দুটি গোল খেয়েও শোধ করে আমরা লড়াইতে ফিরে আসি। পরে আরও দুটি পেনাল্টিটাই গোলমাল করে দেয়।’’ পেনাল্টি থেকে তিনটি গোলই করেছেন ফাদুয়া জাহির।
এ দিন আবার খেলার শেষে সেলিব্রেট করতে গিয়ে পেশিতে টান লেগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মলদ্বীপের ফুটবলার হাওয়া হানেফা। সে সময় মাঠে চিকিৎসক এবং স্ট্রেচার নিয়ে যাওয়ার লোক না থাকায় সমস্যা হয় বলে অভিযোগ।
শেষে দলের ফুটবলাররাই স্ট্রেচারে করে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলে দেন তাঁকে।