কলকাতা-বালুরঘাট ভায়া মালদহে ছোট বিমান চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মালদহ ও বালুরঘাট বিমান বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নে তৎপর রাজ্য পরিবহণ দফতর। বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহে এসে বালুরঘাট ও মালদহে দ্রুত পরিকাঠামো তৈরির কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানালেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বালুরঘাট বিমান বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শেষ হতে এক মাস সময় লাগবে। আর মালদহের পরিকল্পনা তৈরি করে জমাও দেওয়া হয়েছে। দুই বিমান বন্দরে ১৯ আসনের বিমান পরিষেবা চালু হবে। এমনকী, পরিকাঠামো তৈরি হলে ৪২ আসনের বিমানও চলার সম্ভাবনা রয়েছে এই দুই জায়গায়।
জানা গিয়েছে, ৩৫০ একর জমির উপরে রয়েছে মালদহ বিমান বন্দর। ১৯৮০ সালের দিকে মালদহ বিমান বন্দর থেকে ছোট বিমান পরিষেবা চালু ছিল। পরবর্তীতে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাজ্যের পালাবদলের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা-বালুরঘাট ভায়া মালদহ সাত আসনের সাপ্তাহিক হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু করেন। হেলিকপ্টারের পর ১৯ আসনের ছোট বিমান চালানোর উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার।
কেন্দ্রীয় বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দরগুলি অধিগ্রহণ করা হয়। তারপরেই বিমানবন্দর গুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের জোর দেওয়া হয়। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেকের মধ্যেই বালুরঘাটে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো তৈরির কাজ শেষ হবে।
এ ছাড়া পূর্ত দফতরের কর্তারা মালদহের জন্য একটি প্রকল্প তৈরি করেছেন। জানা গিয়েছে, ১৪৫০ মিটার লম্বা ও ৩০ মিটার চওড়া রানওয়ে তৈরি করা হবে। এছাড়া যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার, প্রতিক্ষালয় প্রভুতি তৈরি করা হবে। এরজন্য ১৭ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ হেলিকপ্টারে করে কলকাতা থেকে মালদহে আসেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, হেলিকপ্টার বিভাগের রাজ্য অধিকর্তা দীপক গুপ্ত।