সেরে উঠছে জখম শাবক

গত বুধবার দমনপুর রেঞ্জের গরম নদীর কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে শাবকটির। প্রথম রাতে সেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩৭
Share:

একা: মা ফেরত নিচ্ছে না এই আহত শাবককে। নিজস্ব চিত্র

আঘাত কাটিয়ে উঠছে জখম হস্তিশাবক। দুর্ঘটনার পরে তৃতীয় দিনে স্বাভাবিক ভাবেই ঘোরাফেরা করেছে শাবকটি। কিন্তু শাবকটির মা তাঁকে ফেরত নিতে না আসায় চিন্তায় বনদফতরের কর্তারা।

Advertisement

গত বুধবার দমনপুর রেঞ্জের গরম নদীর কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে শাবকটির। প্রথম রাতে সেটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তারপরে চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল উঠে দাড়ায় সেটি। শুক্রবার পোর আট নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গলে ঘোরাফেরা করতে জেখা যায় শাবকটিকে। কিন্তু দু’দিন কেটে গেলেও হস্তিশাবকটিকে নিতে তার মা আসেনি। শাবকটির দলের অন্য হাতিও আসেনি। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডিএফডি কল্যাণ রাই জানান, হাতিটি স্বাভাবিক আচরণ করছে। খাওয়ার সঙ্গে ওষুধ দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বনকর্মীরা সবসময় নজর রাখছেন বলে জানান তিনি।

বনাধিকারিকরা জানিয়েছেন, জখম স্ত্রী শাবকটির বয়স পাঁচ থেকে ছয় বছর। মায়ের দুধ খাওয়া ছেড়েছে শাবকটি। সেটির চিকিৎসা করতে গিয়ে মানুষের ছোঁয়া লাগায় শাবকটির মা আর আসেনি বলে বনকর্মীদের একাংশের ধারণা। তবে তাঁদের আশা শাবকটির মা ফিরে আসতেও পারে। অতীতে বেশ কিছু ঘটনা রয়েছে যাতে মানুষের ছোঁয়া লাগার পরেও হস্তিশাবককে ফিরিয়ে নিয়েছে মা। সম্প্রতি ভার্নাবাড়ি চাবাগানে একটি হস্তিশাবক জলাধারে পড়ে যায়। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা টেনে তোলেন। পরে মা এসে তাকে নিয়ে যায়। তবে এই হাতিটি অনেকটাই স্বাবলম্বী। মা ফেরত না নিলেও সেটি অন্য দলে ঢুকে যাবে বলে বনকর্মীদের একাংশের ধারণা।

Advertisement

বন্যপ্রাণী চিকিৎসক দীপক শর্মা জানান, ‘‘হাতিটির আঘাত অনেকটা সেরেছে।’’ বনকর্মীরা জানান, আখ, গুড়, কলা ও থোর জঙ্গলের বিভিন্ন জায়গায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জঙ্গলের পাতা ও ঘাসের সঙ্গে কলাপাতা খেয়েছে সেটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন