TMC

TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দিনহাটায়, পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে আনাস্থা অপর গোষ্ঠীর

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দশ জন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল তৃণমূলের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২১ ২১:১৮
Share:

নিজস্ব চিত্র।

ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কোচবিহার জেলার দিনহাটায় তৃণমূলের দখলে থাকা গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে তা দখল করল তৃণমূলের অপর গোষ্ঠী। গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার কারণে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্যকে দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে বাদ রাখার কথা ঘোষণা করেছেন দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রসন্নকুমার দেব শর্মা।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে গীতালদহ ২ গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে তৃণমূল। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের দশ জন পঞ্চায়েত সদস্য ছিল তৃণমূলের। তাদের দখলে থাকা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হন বীতিকা বর্মণ। তাঁর বিরুদ্ধে কাজে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য মাসখানেক আগে অনাস্থা আনেন। বুধবার দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও-র উপস্থিতিতে তলবি সভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেখিয়ে প্রধানকে অপসারণ করা হয়। সেই তলবি সভায় উপস্থিত ছিলেন সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া।

তিনি বলেন, “বীতিকা বর্মণ অঞ্চল কমিটির সঙ্গে কথা না বলে নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করছিলন। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনের পর দল দুর্নীতিকে উপড়ে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিডিও-র কাছে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বুধবার তলবি সভা হয়। ১০ জন পঞ্চায়েত সদস্যের মধ্যে ৬ জন উপস্থিত ছিলেন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধানকে অপসারণ করা হয়।”

Advertisement

দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি প্রসন্নকুমার বলেন, “যে ৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন তাঁরা দলের সঙ্গে কথা না বলেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দল বিরোধী কাজের জন্য প্রথমে তাদের শোকজ করা হয়েছিল। সেই শোকজের জবাব দেননি তাঁরা। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দলের সমস্ত কর্মসূচি থেকে বাদ রাখা হয়েছে তাঁদের।” প্রসন্ন আরও জানান, বিষয়টি ইতিমধ্যে জেলা নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “নিয়ম মেনে প্রধানকে অপসারণ করা হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ পঞ্চায়েত সদস্যরা প্রধানের অপসারণ চেয়েছিলেন। সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও সেটা চেয়েছেন। তবে এটা না হলেই ভাল হতো।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement