ক্ষোভ শুনে সেনা ডাকার সিদ্ধান্ত

বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় আসেন কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা ও পর্যটন দফতরের আধিকারিকরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০১৯ ০৫:১২
Share:

তিস্তা নদী।

এক সপ্তাহ হতে চলল, এখনও একটি দেহ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। বর্ষার খরস্রোতা তিস্তায় এখন পর্যন্ত ভাল ভাবে তল্লাশি হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে নিখোঁজ পর্যটকদের পরিবারের তরফেই। সোমবার তল্লাশির কাজে সেনা নামানোর দাবিতে পথে নামে আইএনটিইউসি-র ট্যাক্সিচালকদের ইউনিয়ন। প্রথমে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে সেবক ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায়, পরে এলাকা পরিদর্শনে গেলে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপাকে ঘিরেও হইচই করে ড্রাইভার্স ইউনিয়ন। নিখোঁজ চালক রাকেশ ওই সংগঠনেই ছিলেন। আন্দোলনের জেরেই এ দিন কার্যত সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। এ দিনও গাড়ি ওঠেনি তিস্তা থেকে। সেনা, নৌসেনা বা উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নেওয়ার আর্জি জানিয়ে দার্জিলিঙের জেলাশাসক দিপাপ প্রিয়া পি চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যকে। পুরো অভিযানে রাজ্য পর্যটন দফতরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisement

রাজস্থানের তিন পর্যটক এবং এক চালককে নিয়ে গাড়ি নিখোঁজ হয়েছিল গত বুধবার। কিন্তু এই ক’দিনে তল্লাশি অভিযান যেখানে ছিল, সেখানেই রয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে দাবি তুলেই এ দিন ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘটনাস্থলে গিয়ে সেবক-কালিম্পং সড়ক কিছুক্ষণের জন্য অবরোধ করে। সোমবার জেলা আইএনটিইউসি নেতা অলোক চক্রবর্তী গিয়েছিলেন সেবকে। তাঁর কথায় অবরোধ ওঠে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পর্যটন নিয়ে প্রচার করে। কিন্তু এই ছ’দিন পর্যটন দফতরের কোনও কর্তাই আসেননি। অবিলম্বে সেনা ডাকা হোক।’’ বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় আসেন কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায়, জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা ও পর্যটন দফতরের আধিকারিকরাও। অনীতকে ঘিরে বিক্ষোভ হয়। পরে থানায় একটি আলোচনাসভা বসে।

সেই আলোচনায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ডেপুটি কম্যান্ড্যান্ট কুমার রবি বলেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে কালীঝোরা জলাধার থেকে জল ছাড়া আংশিক বন্ধ। কিন্তু গাড়িটি বালি-কাদার মধ্যে এতটাই গেঁথে গিয়েছে, তা তুলতে গেলে তার চারপাশের বালি-কাদা আগে তুলতে হবে।’’ নদীগর্ভে প্রায় ১০ মিটার নিচে রয়েছে গাড়িটি। সেখানে উদ্ধারকারীরা হুক লাগিয়ে গাড়ি তুলতে গেলে সেই হুক ভেঙে যাচ্ছে বলে দাবি। এমন অবস্থায় চালক সংগঠন, নিখোঁজদের পরিবারের দাবি, এখনই সেনা ডাকা হোক। সেবক ফাঁড়ি থেকেই রিপোর্ট পাঠানো হয় জেলাশাসককে। অনীত বলেন, ‘‘এনডিআরএফ প্রশিক্ষিত বাহিনী। কিন্তু স্থানীয় আবেগের কথা মাথায় রেখেই আমরা সেনা, নৌসেনা অথবা উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য চেয়েছি।’’ তিনি জানান, মহকুমাশাসকের রিপোর্টের ভিত্তিতে এ দিনই কলকাতায় চিঠি দিয়ে সাহায্য চাওয়ার আর্জি পাঠিয়েছেন জেলাশাসক দীপাপপ্রিয়া পি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন