তদন্তে অনুমতি

থানায় ঢুকে ‘আটক’ যুবককে মারধর করার অভিযোগে প্রাক্তন জেলাশাসক এবং তাঁর স্ত্রীর নামে পুলিশের নিজের দায়ের করার মামলায় তদন্ত শুরু হল। ফালাকাটা থানায় ৬ জানুয়ারি একটি জিডি হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:০৫
Share:

সেই ভিডিয়োর থেকে নেওয়া ছবি।

থানায় ঢুকে ‘আটক’ যুবককে মারধর করার অভিযোগে প্রাক্তন জেলাশাসক এবং তাঁর স্ত্রীর নামে পুলিশের নিজের দায়ের করার মামলায় তদন্ত শুরু হল। ফালাকাটা থানায় ৬ জানুয়ারি একটি জিডি হয়। তাতে বিষয়টি উল্লেখ করে দু’টি ধারায় অভিযোগ করা হয়। পুলিশ সূত্রের খবর, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে আরও কয়েক জনকে দেখা গিয়েছে। এই মামলায় তাঁদেরও জেরা শুরু হবে।

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের এক পুলিশ কর্তা বলেন, “যাঁরা ঘটনার দিন থানায় উপস্থিত ছিলেন। প্রথমে তাঁদের জেরা করা হবে। এর মধ্যে যেমন জেলাশাসকের স্ত্রীর সঙ্গীরা রয়েছেন, তেমনিই পুলিশও আছে। তার পর মূল ব্যক্তিদের বয়ান নেওয়া হবে।”

পুলিশ জানিয়েছে, ফালাকাটা থানার জিডি আলিপুরদুয়ার আদালতে পাঠানো হয়। আদালত থেকেই তদন্ত শুরুর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথমে সকলের বয়ান নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে তা আদালতে জমা দেওয়া হবে। আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী এইচ তিতুং অবশ্য বলেন, “পুলিশের জিডি নানা মাধ্যমে আদালতে আসতে পারে। আমার হাতে তা এখনও আসেনি।”

Advertisement

ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিত রায়কেও ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়। ৯ জানুয়ারি তাঁকে ফালাকাটা থানা থেকে কোচবিহারে বদলি করা হয়। ফালাকাটা থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয় কোচবিহারের আইসি সমীর পালকে। এ দিন সমীরবাবু জানিয়েছেন, সব মামলারই তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ কর্তাদের অনুমতি নিয়ে, আইন মেনে ধাপে ধাপে পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলে থানা থেকে দাবি করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নিখিল নির্মল জেলাশাসক ছিলেন। প্রোটোকল অনুযায়ী তাঁর বয়ান নিতে গেলে অনুমতি প্রয়োজন। তবে ভাইরাল ভিডিয়োয় তাঁর সঙ্গে আর যাঁদের দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা যেতেই পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন