Malda River Erosion prevention work

ভাঙন রোধের কাজে চিন্তা পাড়ের গভীরতা

গঙ্গা ও ফুলহারের ভাঙনে ফি বছর জেরবার হয় মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।

জয়ন্ত সেন 

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ১০:২১
Share:

এসিডিপি যন্ত্র দিয়ে গঙ্গার গভীরতা মাপার কাজ চলছে। নিজস্ব চিত্র।

শুখা মরসুমে মালদহ জেলায় পাড় সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গার গভীরতা নিয়ে চিন্তিত সেচকর্তারা। সূত্রের খবর, সেচ দফতরের রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে ‘অ্যাকুস্টিক ডপলার কারেন্ট প্রোফাইলার’ (এসিডিপি) যন্ত্র দিয়ে এখন সেই গভীরতা মাপার কাজ শুরু করা হয়েছে, যাতে সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ করা যায়। কিন্তু পঞ্চানন্দপুর থেকে পারলালপুর-সহ নানা পয়েন্টে পাড়ের কাছাকাছি গঙ্গার গভীরতা কোথাও ২৮, কোথাও ২৯ মিটার থাকায় চিন্তা বেড়েছে। ফুলহার নদীর বিভিন্ন পয়েন্টেও ওই সমীক্ষা হচ্ছে।

গঙ্গা ও ফুলহারের ভাঙনে ফি বছর জেরবার হয় মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে, রতুয়া ১ ব্লকে মহানন্দাটোলা থেকে শুরু করে মানিকচকের ভূতনি, কালিয়াচক ২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর হয়ে কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারলালপুর পর্যন্ত প্রায় ৭৫ কিলোমিটার এলাকা মূলত ভাঙন-প্রবণ। ভাঙনের জেরে আবাদি জমির পাশাপাশি প্রচুর মানুষের ভিটেমাটিও নদীতে তলিয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙন কবলিত এলাকায় ভাঙন রোধের কাজ শুরুর আগে দফতরের তরফে এডিসিপি যন্ত্র দিয়ে সমীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয় যে নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় জলের গভীরতা কতটা রয়েছে ও সেই অনুযায়ী ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করা হয়। সেই মতো দফতরের রিভার রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে গঙ্গার পাড় বরাবর ভাঙন কবলিত এলাকায় জলের গভীরতা মাপার কাজ শুরু হয়েছে। রতুয়া ১ ব্লকে মুলিরামটোলা, শ্রীকান্তটোলা, পশ্চিম রতনপুর, মানিকচকের ভূতনির কেশরপুর কলোনি, মানিকচক ঘাট, ইংরেজবাজার ব্লকের গোপালপুর, খাসখোল, কালিয়াচক ২ ব্লকের পঞ্চানন্দপুর, কালিয়াচক ৩ ব্লকের পারলালপুর প্রভৃতি পয়েন্টে জলস্তর মাপার কাজ শেষ হয়েছে। এখন ফুলহার নদীর কাঁকড়িবাধা, আলাদিয়া, শঙ্করটোলা ঘাট এলাকায় সেই সমীক্ষা চলছে। শ্রীকান্তটোলা বা পশ্চিম রতনপুর এলাকায় নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গার গভীরতা সাত থেকে দশ মিটারের মধ্যে থাকলেও পঞ্চনন্দপুর ও পারলালপুর এলাকায় সেই গভীরতা রয়েছে ২৮ এবং ২৯ মিটার। তাতেই চিন্তা বেড়েছে সেচ কর্তাদের। তাঁদের মতে, এই শুখা মরসুমেই নদীর পাড় সংলগ্ন এলাকায় গঙ্গার জলের গভীরতা যদি এত বেশি হয় তবে বর্ষার সময়ে জল বাড়লে কি পরিস্থিতি দাঁড়াবে? সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘জলের এই গভীরতা চিন্তায় ফেলেছে। ওই গভীরতা পূরণ করে ভাঙন-রক্ষার কাজ কী ভাবে সম্ভব হবে?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন