আবু হাসেম খান চৌধুরী
মৌসম নুরের পর কি এ বার দক্ষিণ মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর (ডালু) নাম উঠছে? মাসখানেক আগে তিনি গিয়েছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। তখনই জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। এখন কংগ্রেসের আশঙ্কা, তৃণমূল এ বার দক্ষিণ মালদহের সাংসদ ডালুবাবুকে দলে টানতেও ঝাঁপাবে। এমনকি, মঙ্গলবার মালদহে ফিরে দাদা ইশার সঙ্গে ডালুমামাকেও ডাক দিয়ে রাখলেন মৌসম।
যদিও ইশা এ দিন কোতোয়ালি হাভেলিতে বসে বলেন, ‘‘বিজেপিকে ঠেকাতে বাবা (ডালুবাবু) অনেক আগে থেকেই জোট চাইছেন। এখনও চাইছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকেও বলেছিলেন। জোট নিয়ে কথা বলতেই উনি পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা করেন। কিন্তু বাবা লুকিয়ে দেখা করেননি। তাই বাবা তৃণমূলে যেতে পারেন বলে যারা ভাবছেন বা যাঁরা টোপ দিয়ে তাঁকে টানার চেষ্টা করছেন, তাঁদের লক্ষ্য পূরণ হবে না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি বা বাবা তৃণমূলের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছি না।’’ এ দিন হুগলিতে ছিলেন ডালু। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমি মরে গেলেও তৃণমূলে যাব না।’’
এই মুহূর্তে ইশাই জেলায় কংগ্রেসের একমাত্র গ্রহণযোগ্য তরুণ মুখ। তাই সোমবার থেকে তাঁর কাঁধে দায়িত্বের পাহাড়। এক দিকে যেমন বাবাকে আটকে বাড়িতে আরও ভাঙন রোখা, অন্য দিকে তেমনই দলকে চাঙ্গা করা। দ্বিতীয় কাজটি করতে তিনি এ দিন বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করছি ভোটের আগে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে এমনে সভা করতে।’’
মৌসম দলবদল করার পর জেলা কংগ্রেসের অনেকই চাইছেন, ইশা দলের মুখ হয়ে উঠুক। এ ছাড়া মৌসমের দলবদলের পরপরই ইশাকে উত্তর মালদহে দাঁড় করানো হবে বলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র জানিয়েছেন। যদিও ইশা এদিন বলেন, ‘‘দল প্রস্তাব দিতেই পারে। কিন্তু নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিধায়কেরা মিলে জন সংযোগের কাজ শুরু করেছি। ৮ বা ৯ তারিখ রতুয়ায় মহামিছিল করে জনসংযোগের লাগাতার কাজও শুরু হবে।’’
ইশার বক্তব্য, ‘‘মৌসম ভুল করলেন। মালদহের মাটি গনিখানের মাটি। লোকসভা ভোটে আবার তা প্রমাণ হবে।’’