বালি চুরি রুখতে অভিযান

অবৈধ খাদানের পাথর ভরা ট্রাক ধরতে গিয়ে শুক্রবারই আক্রান্ত হন জলপাইগুড়ির জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিপ্লব হালদার। ট্রাকটি তাঁর গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে যায়। ভোরের রাস্তায় তাড়া করে সেই গাড়িটি তাঁরা পরে ধরেও ফেলেন। তারপরে শনিবার ফের অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ওই দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৬
Share:

অভিযান: মাঝ তিস্তায় বালি খাদান রুখতে প্রশাসন। ছবি: সন্দীপ পাল

অবৈধ খাদানের পাথর ভরা ট্রাক ধরতে গিয়ে শুক্রবারই আক্রান্ত হন জলপাইগুড়ির জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক বিপ্লব হালদার। ট্রাকটি তাঁর গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে যায়। ভোরের রাস্তায় তাড়া করে সেই গাড়িটি তাঁরা পরে ধরেও ফেলেন। তারপরে শনিবার ফের অবৈধ বালি খাদানের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে ওই দফতর। শনিবার সকালে দফতরের জলপাইগুড়ি সদর ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ যৌথ ভাবে এই অভিযানে নামে।

Advertisement

এ দিন জলপাইগুড়ির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক ছোঁয়া তিস্তা সেতুর আগে বাঁ দিকের তিস্তার নদী গর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলা রুখতে অভিযান চালানো হয়। দু’টি জেসিপি মেশিন দিয়ে ডাম্পারে বালি তোলার কাজ চলছিল বলে দাবি দফতরের। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের আধিকারিক বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘৬টি বালি বোঝাই ডাম্পার ও দু’টি পে লোডার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছোনোর আগেই অভিযানের খবর পেয়ে চালকেরা পালিয়ে যায়।’’

অভিযোগ, তিস্তা, করলা, তালমা, পাঙ্গা সহ বিভিন্ন নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালি তোলার কাজ চলছে রমরমিয়ে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরীসারিয়া বলেন, ‘‘অবৈধ ভাবে বালি তোলা রুখতে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।’’

Advertisement

নদীগর্ভ থেকে বালি তোলার কাজে পে লোডার ব্যবহার করা যায় না বলে দাবি এই দফতরের। শ্রমিকদের দিয়েই এই বালি পাথর উত্তোলন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও বাস্তবে বৈধ ও অবৈধ সব বালি খাদানেই জেসিপি মেশিন দিয়ে বালি পাথর উত্তোলন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই অভিযোগের সত্যতাও স্বীকার করেছেন ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্তারা। অবৈধ ভাবে বালি তোলা রুখতে পুলিশের তরফে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

এই বিষয়েও দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে পুলিশ ও ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানান, ‘‘নদীগর্ভ থেকে বালি তোলা রুখতে আমরা জেলাশাসকের মাধ্যমে গোপন ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তাব ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছিলাম।’’

বিপ্লববাবু বলেন, ‘‘রাজ্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই গোপন ক্যামেরা লাগানোর জন্য পুলিশকেই বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন