জনে জনে কথায় খুলল জমি-জট

প্রশাসন সূত্রের খবর, এত দিন বিভিন্ন সময়ে একসময়ে জমিদাতাদের ডাকা হয়েছিল। তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সভা ভেস্তে যেত। মার্চ থেকে জমিদাতাদের আলোচনায় ডাকা হয়।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৫৫
Share:

উচ্ছেদ: মহাসড়কের কাজের জন্য ভাঙা হচ্ছে দোকানপাট। ময়নাগুড়িতে। ফাইল চিত্র

জাতীয় সড়কের জমি জট কাটাতে কর্পোরেট ‘লাইন’ নিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। তাতেই প্রায় ১১ বছর ধরে চলতে থাকা ৪০ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে জমি জট কেটেছে, দাবি প্রশাসনের একটি বড় অংশের। তাদের দাবি, এই ভাবে প্রায় দেড়শো হেক্টর জমির ‘সুষ্ঠু’ অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। পুরো কাজটাই হয়েছে গত ছ’মাসে। পূর্ব-পশ্চিম মহাসড়ক তথা ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর তৈরির জন্য জাতীয় সড়কের দু পাশের জমি অধিগ্রহণ জলপাইগুড়িতে শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে। তখন থেকেই জমি অধিগ্রহণে বাধা শুরু হয়। গত মার্চ মাসে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ দ্রুত গতিতে কাজ শেষের নির্দেশ দেয়, তদারকিতে বিশেষ অফিসারও নিয়োগ করে। এর পরে জমিজট খুলতে নীতি বদলায় প্রশাসন। অনিচ্ছুকদের ডেকে পাঠানো হয় ভূমি দফতরে।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, এত দিন বিভিন্ন সময়ে একসময়ে জমিদাতাদের ডাকা হয়েছিল। তাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সভা ভেস্তে যেত। মার্চ থেকে জমিদাতাদের আলোচনায় ডাকা হয়। কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা, কিছু জমিদাতার সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্তারা। দাবি মেনে কারও ক্ষতিপূরণের হার বাড়ানো হয়, কোনও ক্ষেত্রে নির্মাণকারী সংস্থাকে অনুরোধ করে পাঁচিল বা ঘর তৈরি করে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। তাতেও কাজ না হলে কড়া হয়েছে প্রশাসন। ক্ষতিপূরণ নিয়েও যাঁরা রাস্তার পাশে কাঠামো রেখেছিলেন, অগস্টে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভেঙে দেয়। ৩০ জুলাই থেকে ৫০টি এলাকায় পুলিশি অভিযান হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, গত মাসেই থমকে থাকা ৪০ কিমি রাস্তা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় জমি হাতে চলে এসেছে। হাইকোর্টের স্পেশ্যাল অফিসার অনিন্দ্য লাহিড়ী বলেন, “জলপাইগুড়িতে খুব ভাল ভাবে অধিগ্রহণের কাজ হয়েছে।” জেলাশাসক অভিষেক তিওয়ারিকে ধন্যবাদও জানান তিনি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রকল্প ম্যানেজার প্রদ্যোৎ দাশগুপ্ত বলেন, “জলপাইগুড়িতে তেমন বড় সমস্যা নেই।” উল্লাডাবড়িতে যে তিন কিমি এলাকায় সমস্যা রয়েছে, তাও মিটে যাবে বলে দাবি প্রশাসনের।

তবে সমস্যা রয়েছে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায়। পূর্ব-পশ্চিম মড়াসড়ক ধূপগুড়ি দিয়ে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার হয়ে অসমে ঢোকার কথা। ধূপগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ারের সলসলাবাড়ি পর্যন্ত কাজ শুরু করার নির্দেশ আট মাস আগে দেওয়া হয়েছে একটি সংস্থাকে। জমি জটিলতার জেরে এখনও কাজ শুরু হয়নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন