মোর্চার আন্দোলন থেকে দূরে কৈলাস

তা হলে কি তাঁরা মোর্চার এই আন্দোলনে বিমল গুরুঙ্গদের পাশে রয়েছেন? কৈলাসের বক্তব্য, ‘‘ওরা এনডিএতে আছে ঠিকই! আমরা ওদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে সহমত পোষণ করি। তবে আন্দোলনে পাশে থেকে রাস্তায় নামার কোনও বিষয় নেই। মোর্চা আলাদা দল, ওটা ওঁদের বিষয়।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৭ ০৩:০৩
Share:

পাহাড়ের সমস্যা মেটাতে আলাপ আলোচনাতেই পক্ষপাতী কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তবে তাঁরা যে মোর্চার আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে রাখতে চান, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

Advertisement

রাজ্যের প্রস্তাবিত তিন ভাষা নীতি ও বাংলা পড়ানো বাধ্যতামূলক করার বিরোধিতা করে পথে নেমেছে মোর্চা। দু’দিন ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। মিটিং, মিছিলের পাশাপাশি পাহাড়ে বিভিন্ন স্তরে বন্‌ধের হুমকি দেওয়াও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে আলোচনার দাওয়াই দিয়েছেন কৈলাস। বলেছেন, ‘‘পাহাড়ে ভাষা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয় আলোচনা না করেই চাপিয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এর ফলে বিদ্রোহ, বিরোধ হওয়াটা স্বাভাবিক। আলোচনার করেই এগুলি নিয়ে এগোন উচিত।’’

তা হলে কি তাঁরা মোর্চার এই আন্দোলনে বিমল গুরুঙ্গদের পাশে রয়েছেন? কৈলাসের বক্তব্য, ‘‘ওরা এনডিএতে আছে ঠিকই! আমরা ওদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে সহমত পোষণ করি। তবে আন্দোলনে পাশে থেকে রাস্তায় নামার কোনও বিষয় নেই। মোর্চা আলাদা দল, ওটা
ওঁদের বিষয়।’’

Advertisement

দলীয় নেতাদের একাংশ বলছেন, পর্যটন মরশুমে বন্‌ধ, ধর্মঘট করে মানুষকে বিব্রত করার মধ্যে বিজেপি নেই। দলের কেন্দ্রীয় নেতা সেটাই কার্যত বুঝিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি পাহাড়ে নিজেদের সংগঠন বাড়াতে যে দল উদ্যোগী, সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন কৈলাস এ দিন পাহাড়ের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে। পাহাড়ে কম হলেও একটি-দুটি করে বুথভিত্তিক সংগঠন তৈরির নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন