ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কীর্তনকে হাতিয়ার করল স্বাস্থ্য দফতর। ‘ভজ গৌরাঙ্গ কহ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গ’ গানের সুরে গান তৈরি করে ডেঙ্গি নিয়ে গ্রামে গ্রামে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমেও ওই গান ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি নিয়ে যাঁরা মাঠে কাজ করছেন তাঁদের হাতে ওই গান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাইক যোগেও তা প্রচার করা হবে।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, লোকগানের সুরে ওই গান তৈরি করা হয়েছে। যা সাধারণ মানুষকে খুব সহজেই আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কোচবিহারের ডেপুটি সিএমওএইচ-২ শ্যামল সোরেন বলেন, “নানা ভাবে ডেঙ্গি নিয়ে বাসিন্দাদের সচেতন করার জন্য প্রচার শুরু করা হয়েছে। তাতে গান সামিল করা হয়েছে। ফলে তা অনেকটাই কাজে লাগবে।” গোটা রাজ্য তো বটেই কোচবিহারেও ডেঙ্গি থাবা বসিয়েছে। কোচবিহারে এখনও পর্যন্ত ১০৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। পাশের জেলা আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতেও একই অবস্থা। শিলিগুড়ির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি নিয়ে কোচবিহার পুরসভায় বাড়িতে বাড়িতে সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিন ধরে ওই সমীক্ষা চলবে। সমীক্ষার সঙ্গেই চলবে সচেতন করা কাজ। সেই সময় শোনানো হবে সেই গান। এ ছাড়া বাইরে থেকে আসা বাসিন্দাদের শারীরিক পরীক্ষার জন্য বিশেষ শিবিরের আয়োজন করবে স্বাস্থ্য দফতর। ৩০ তারিখ থেকে ওই শিবির শুরু হবে।
আজ, সোমবার কোচবিহার ২ ব্লকে ওই শিবির হবে। পরে যে সমস্ত ব্লক ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছে, সেখানে সেখানে ওই শিবির হবে। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ওই শিবির চলবে। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “কোথাও জল জমিয়ে রাখা যাবে না। সে বার্তা দেওয়াই প্রথম লক্ষ্য।” স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারকরা মনে করেন, বেশির ভাগ বাসিন্দারা ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন নন। প্রথমত কোথায় ওই মশার বসবাস? কিভাবে মশার উপদ্রব বাড়ছে, মশা নিয়ে কতটা সতর্ক থাকতে হবে সেটা আগে সবাইকে জানতে হবে। জ্বর হলেই ডেঙ্গি নয়, ডেঙ্গির উপসর্গ কী সেটাও জানতে হবে। সেই সমস্ত নিয়ে ওই গান। প্রায় ৯ মিনিটের ওই গানের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে ছোট ছোট বক্তব্য।