কেএলও নেতা জীবন সিংহ। ছবি: ভিডিয়ো থেকে।
কোচবিহারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে থাকবেন না! ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষজনকে না-থাকার আর্জি জানালেন কেএলও নেতা জীবন সিংহ। তৃণমূল বলছে জীবনের এই বক্তব্যের কোনও গুরুত্বই নেই।
৯ ডিসেম্বর কোচবিহারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এই আবহে গোপন ডেরা থেকে ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে জীবন রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষকে মমতার জনসভায় না-যাওয়ার আবেদন জানান। তাঁর কথায়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৃথক রাজ্যের (কামতাপুর) বিরোধিতা করেন। কোনও ভাবেই পৃথক রাজ্য হতে দেবেন না বলেছেন। তাই এই জনসভায় রাজবংশী সম্প্রদায়ের কোনও মানুষ অংশগ্রহণ করবেন না।’’
তৃণমূলের মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘জীবনের এই ধরনের মন্তব্যের কোন গুরুত্ব আছে বলে আমরা মনে করি না। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় এক বছর পর জনসভা করতে কোচবিহারে আসছেন। কোচবিহারের মানুষ অত্যন্ত আনন্দিত এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জনসভার অপেক্ষায় রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য মানুষ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন।’’ তাঁর আশা, জনসভায় প্রচুর ভিড় হবে। পার্থপ্রতিম আরও বলেন, ‘‘মমতা এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী, যিনি রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য বহু কর্মসূচি রূপায়িত করেছেন। রাজবংশী, কামতাপুরী ভাষাকে স্বীকৃতি দেওয়া, আত্মসমর্পণ করা কেএলও-দের হোম গার্ডে চাকরি দেওয়া, রাজবংশী, কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমি গঠন, মনীষী পঞ্চানন বর্মনের নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন-সহ রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য বহু কর্মসূচি রূপায়িত করেছেন।’’ তৃণমূল নেতার কটাক্ষ, জীবন কার মদতে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তা সকলের কাছে জলের মতো পরিষ্কার।
১৯৯৫ সালে কেএলওর জন্ম। সার্বভৌম কামতাপুরের দাবিতে হাতে অস্ত্র তুলে নেন জীবন ও তাঁর সঙ্গীরা। বেশ কয়েক বছর আগে ভুটানে সেনা অভিযানে বড়সড় ধাক্কা খাওয়ার পর থেকে কার্যত ভেঙে পড়ে সংগঠনটি। তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করতে শুরু করেন জঙ্গিরা। কিন্তু জীবনের নাগাল মেলেনি। এ বার গোপন ডেরা থেকে ভিডিয়ো বার্তা দিলেন তিনি।