কৃষ্ণেন্দুর অফিসে কথা, সঙ্গে দুপুরের খাওয়াও

কৃষ্ণেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের আগেই কৃষ্ণেন্দু এ দিন রব্বানিকে নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে ডাকেন। তবে দু’জনে তাঁর কালীতলার অফিসে যান। সেখানেই ঘণ্টাদেড়েক কথা হয় তিনজনের। খাওয়াদাওয়াও হয় বলে জানা গিয়েছে।     

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৪৮
Share:

ইংরেজবাজার পুরসভার অনাস্থা জট কাটাতে ডাকা বৈঠক ফের উপেক্ষা করলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। ফাইল চিত্র।

ইংরেজবাজার পুরসভার অনাস্থা জট কাটাতে ডাকা বৈঠক ফের উপেক্ষা করলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।

Advertisement

শনিবার তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসুম নুরের ডাকা বৈঠকে হাজির হলেন না অন্তত দশ জন কাউন্সিলর। সেই তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুও। এ দিন এই বৈঠকে মৌসমের সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানিও। দলীয় সূত্রের খবর, দু’ঘণ্টার বৈঠকের পর বিকেল নাগাদ কৃষ্ণেন্দুর মান ভাঙাতে কালীতলায় তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যান রব্বানি ও মৌসম। কৃষ্ণেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের আগেই কৃষ্ণেন্দু এ দিন রব্বানিকে নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে ডাকেন। তবে দু’জনে তাঁর কালীতলার অফিসে যান। সেখানেই ঘণ্টাদেড়েক কথা হয় তিনজনের। খাওয়াদাওয়াও হয় বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে বৈঠকের শেষে রব্বানি ও মৌসম দু’জনেই জানান, পুরপ্রধান হিসেবে নীহাররঞ্জন ঘোষই থাকছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হবে। তবে রব্বানি বলেন, ‘‘পুরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষই থাকছেন। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক কাউন্সিলরের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। তবে পুরসভা পরিচালনার জন্য তিন থেকে চারজন কাউন্সিলরকে নিয়ে একটি মনিটরিং কমিটি হবে। সেই কমিটি গঠন করবেন দলের জেলা সভাপতি।’’ মৌসম বলেন, ‘‘বিশেষ কারণে কিছু কাউন্সিলর আসবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তবে সমস্ত কাউন্সিলর এক হয়ে কাজ করবেন।’’

Advertisement

গত ২ সেপ্টেম্বর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দু'পক্ষের দলীয় কাউন্সিলরদের কলকাতায় ডেকে বৈঠক করেন। কিন্তু তারপরেও সমস্যা না মেটায় গত বৃহস্পতিবার ফের দলের জেলা সভাপতি সহ পাঁচ জন কাউন্সিলরকে ডেকে কলকাতায় বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী। দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতেই এ দিন দুপুরে দলের জেলা কার্যালয় নুর ম্যানসনে ইংরেজবাজার পুরসভার দলীয় ২৪ জন কাউন্সিলরকে বৈঠক ডাকেন মৌসম। কিন্তু যাননি অন্তত দশজন কাউন্সিলর। চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক সাহা বৈঠকে থাকলেও তিনি বৈঠকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি।

বৈঠক মিটতেই মৌসম ও রব্বানি চলে যান কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে। এই সাক্ষাৎ নিয়ে রব্বানি বলেন, ‘‘কৃষ্ণেন্দুবাবু দুপুরে খেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রক্ষা করলাম। অন্য কোনও বিষয় নেই।’’ কৃষ্ণেন্দু অবশ্য বলেন, ‘‘পর্যবেক্ষক আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে আসতে বলি। সভাপতিও এসেছিলেন। আমি কেন আজ বৈঠকে যাইনি তা আমি তাঁদের জানিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন