অনিচ্ছুক জমিদাতাদের জমি ফেরতের উদ্যোগ

কাওয়াখালিতে অনিচ্ছুক জমিদাতাদের জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানালেন এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়িতে, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন দফতরের কার্যালয়ের মাসিক অধিবেশনের পর এ কথা জানান তিনি। মোট ৯ একর জমি অনিচ্ছুকদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও এ দিন জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ০১:৪৪
Share:

এসজেডিএ-র বোর্ড মিটিঙে মন্ত্রী গৌতম দেব।—নিজস্ব চিত্র।

কাওয়াখালিতে অনিচ্ছুক জমিদাতাদের জমি ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানালেন এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়িতে, শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন দফতরের কার্যালয়ের মাসিক অধিবেশনের পর এ কথা জানান তিনি। মোট ৯ একর জমি অনিচ্ছুকদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে বলেও এ দিন জানান তিনি। তার আইনি প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এসজেডিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘৮ জন জমিদাতার ক্ষেত্রে জমি ফেরত দেওয়ার ব্যপারে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা মিটে গেলেই জমি ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে।’’ এ দিন বৈঠকে আরও কয়েকটি বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এসজেডিএর সদস্য রঞ্জনশীল শর্মা, জ্যোৎস্না অগ্রবাল, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, এসজেডিএর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক আর বিমলা প্রমুখ।
২০০৪ সালে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার কাওয়াখালিতে ৩০২ একর জমি অধিগ্রহণ করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। উপনগরী করার জন্যই সেই সময় এই জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তখন বেশ কিছু জমির মালিক জমি দিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। অনেকে আবার জমি দিয়েও টাকা পাচ্ছেন না বলে আন্দোলনে নামেন। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরেও বহুদিন আন্দোলন চলে। পরে অনেকের টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয় এসজেডিএর পক্ষ থেকে। কিছু জমিদাতা কোনও মতেই জমি দেবেন না বলে জানিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত জমি ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে এ দিন জানানো হয়েছে। এই জমিতে ফিল্ম সিটি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। জমি দেওয়া হয়েছিল তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রককে। কিন্তু আগ্রহী সংস্থা পাওয়া না যাওয়ায় তা ফেরত নেওয়া হয়‌েছে বলে এ দিন গৌতমবাবু জানান। ফের ‘তিস্তা সিটি’ নামে আবাসন প্রকল্প করা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

এ দিন চেয়ারম্যান জানান, নিউ জলপাইগুড়িতে ড্রাই পোর্টের টেন্ডার করা হয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তাতে রেল ইয়ার্ড তৈরি হবে। এ ব্যাপারে রেলের সবুজ সংকেত পাওয়ার জন্য কথা চলছে। প্রাথমিক ভাবে ১১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে টেন্ডার পাওয়া সংস্থাটি। বেরুবাড়িতে সবজি বাজার তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া ফাঁসিদেওয়া ব্লকের ছোটপথু এলাকায় একটি হোমিওপ্যাথি রিসার্চ সেন্টার তৈরি করা হবে বলে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সে ব্যপারে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবুজ সংকেত মিলেছে। শীঘ্রই এই কাজ শুরু করা হবে বলেও তিনি জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন