আগমন: শিলিগুড়ির সেবক রোডের উপরে আড়াই মাইল এলাকায় একটি গুদামের ছাদে হঠাৎ দেখা মিলল এই চিতাবাঘের। রাত তখন দশটা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক
চিতাবাঘ নিয়ে আতঙ্ক কাটছে না শিলিগুড়ির। বনের প্রাণী জঙ্গলেই ফিরে গিয়েছে— বন দফতরের এই দাবি শহরবাসীর স্বস্তি ফেরাতে পারেনি। শহরের কোথাও ঘাপটি মেরে নেই তো সে? এই প্রশ্নই ঘুরে বেড়াচ্ছে শিলিগুড়ির এ মাথা থেকে ও মুড়ো।
বুধবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ শহরের সেবক রোডের আড়াই মাইলের কাছেব্যস্ত এক শপিং মলের ঠিক উল্টো দিকে একটি চিতাবাঘকে হেলেদুলে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। মুহূর্তেই হইচই শুরু হয়ে যায়। সেখানে একটি মার্বেলের দোকান ও পাশেই একটি গুদাম রয়েছে। তারই ছাদে চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখতে পান এক চৌকিদার। তাঁর চেঁচামেচিতেই লোকজন জড়ো হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর যায় বন দফতর ও পুলিশের কাছে। বনকর্মীরা ঘুমপাড়ানি বন্দুক নিয়ে জাল পেতে চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য চেষ্টা করেন।
বৃহস্পতিবার বৈকুণ্ঠপুরের বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘‘আমরা সারা রাত ধরে বাঘটিকে জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা করেছি। সকালের দিকে সেটি সম্ভবত জঙ্গলে ফিরে গিয়েছে।’’ সম্ভবত কেন? বন দফতররে দাবি, যে এলাকায় বাঘটকে দেখা গিয়েছিল সেখানে তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আর বাঘটির দেখা পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে কিলোমিটার চারেক দূরে শালুগাড়ার জঙ্গল। সেখানে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে বনকর্মীদের মত।
আরও পড়ুন: অন্তঃসত্ত্বাকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল
আর পড়ুন: মাংস-রটনায় পুলিশ শরণে নামী বিপণি
তবে বন দফতরের এই দাবিতে আস্থা রাখতে পারছেন না স্থানীয়েরা। এলাকার ব্যবসায়ী সজ্জন অগ্রবাল বলেন, ‘‘আতঙ্ক কাটল কোথায়! চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিলে তা-ও একটা মানে হত।এখানে তো সন্ধ্যার পর গরমের দিনে লোডশেডিং হয়ে যায়। এলাকায় যদি বাঘ ঘাপটি মেরে থাকে! বাইরে বেরতেই তো ভয় করছে।’’