প্রশাসন কেন কিছু জানায়নি

ছিল শতাধিক। রাতারাতি কমে হয়ে গেল বিয়াল্লিশ! ফলে সেই সব দোকানে রবিবার উপচে পড়েছে ভিড়। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাদের দোকান-বারে তালা ঝুলল, তাদের এর মধ্যেই মাথায় হাত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ ও রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৫
Share:

ছিল শতাধিক। রাতারাতি কমে হয়ে গেল বিয়াল্লিশ! ফলে সেই সব দোকানে রবিবার উপচে পড়েছে ভিড়। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যাদের দোকান-বারে তালা ঝুলল, তাদের এর মধ্যেই মাথায় হাত। ক্ষতির পরিমাণ কত হবে, তা নিয়ে হিসেব কষতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

এই ছবি যদি মালদহ জেলার হয়, তা হলে তার পড়শি উত্তর দিনাজপুরে পুলিশ শুরু করেছে নজরদারি। কেন? কারণ, এর মধ্যেই খবর আসছে— লুকিয়ে চুরিয়ে মদ বিক্রি শুরু হয়ে গিয়েছে অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। তা সামাল দিতে তৎপর হয়ে উঠেছে প্রশাসন। আবগারি দফতরের রায়গঞ্জের ওসি অংশুমান চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বাধ্যতামূলক। সেই নির্দেশ মতোই শনিবার থেকে জেলায় ৪০টি মদের দোকান ও পানশালা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবগারি দফতর জাতীয় ও রাজ্য সড়কের ধারের মদ ও পানশালা ব্যবসায়ীদের মৌখিক ভাবে দোকান বন্ধ করার অনুরোধ করেছে।’’

উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক আয়েশা রানি ও পুলিশ সুপার অমিতকুমার ভরত রাঠৌর বলেন, আদালতের নির্দেশ মেনে দোকান ও পানশালা বন্ধ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নজর রাখা হচ্ছে, কোথাও যেন বেআইনি ভাবে মদের কারবার শুরু না হয়। তবে সরকারি নির্দেশিকা এখনও না আসায় প্রশাসনের সব স্তরের লোকজনই কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন।

Advertisement

একই দ্বিধা মালদহেও। পশ্চিমবঙ্গ ফরেন লিকার অন-অফ শপ অ্যাসোসিয়েশনের মালদহ শাখার সহকারী সম্পাদক পার্থ বসু অবশ্য দাবি করেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পয়লা এপ্রিল থেকে দোকান বন্ধ রাখার কথা থাকলেও মালদহের আবগারি দফতরের মৌখিক নির্দেশে কয়েক দিন আগে থেকেই দোকানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ কেন এল না, তাই নিয়ে সংশয় রয়েছে। একই বক্তব্য ইংরেজবাজারের যদুপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে থাকা এক পানশালার মালিক রাজেশ সাউয়েরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন