কোথাও বন্ধ থাকল মদের দোকান। কোথাও লুকিয়ে-চুরিয়ে চলল মদ বিক্রি। কোচবিহারের জাতীয় সড়কের ধারের মদের দোকান ও বারগুলোয় এমনই দৃশ্য চোখে পড়েছে বলে অভিযোগ।
প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে, জেলায় জাতীয় সড়কের ধারে লাইন্সেসপ্রাপ্ত পাঁচটি মদের দোকান রয়েছে। এগুলি পুন্ডিবাড়ি থেকে চ্যাংরাবান্ধা যাওয়ার রাস্তায় এবং মেখলিগঞ্জে রয়েছে। কিন্তু লাইসেন্সবিহীন মদের দোকানের সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি, বলছে প্রশাসনের একটি মহলই। তারা লুকিয়ে-চুরিয়ে ব্যবসা চালাতেই পারে— সন্দেহ করছেন তাঁরা।
মদ বিক্রেতাদের সংগঠন অবশ্য জানিয়েছে, সব দোকান বন্ধই ছিল। জেলা ফরেন লিকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ভূষণ সিংহের এই দাবির সঙ্গে একমত জেলা এক্সাইস লাইসেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক নিখিলানন্দ সাহাও। জেলা প্রশাসনও এই কথা মেনে নিয়েছে। এবং সব পক্ষেরই বক্তব্য, সরকারি নির্দেশ হাতে আসেনি এখনও। ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি রয়েছে। তবু সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলেই মৌখিক ভাবে দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় আবগারি দফতর।
ভূষণবাবু বলেন, “আদালতের নির্দেশ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাই না। তবে এর ফলে পরোক্ষ ভাবে বলেও বেআইনি ব্যবসায়ীরা উৎসাহ পাচ্ছে। কয়েকটি জায়গায় বেআইনি ভাবে রমরমিয়ে মদ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়েছি।” কোচবিহারের জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, “বেআইনি ভাবে যাতে কেউ মদ বিক্রি করতে না পারে, সে জন্য বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।’’