কুলিক ইকো পার্ক সংস্কারের উদ্যোগ

শহরের বাসিন্দা আর কুলিক পক্ষীনিবাসে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বছর পাঁচেক আগে পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল কুলিক ইকো পার্ক। বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তরফে পার্কের ক্যানালে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।

Advertisement

গৌর আচার্য

রায়গঞ্জ শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৫ ০১:৩৬
Share:

শহরের বাসিন্দা আর কুলিক পক্ষীনিবাসে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে বছর পাঁচেক আগে পক্ষীনিবাস সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয়েছিল কুলিক ইকো পার্ক। বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির তরফে পার্কের ক্যানালে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। কিন্তু রোদের তাপে ক্যানালের জল প্রায় শুকিয়ে যাওয়ায় গত দু’মাস ধরে বোটিং বন্ধ করে দিয়েছেন পার্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা। সংস্কারের অভাবে জীর্ণ হয়ে পড়েছে পার্কের ক্যানালের উপরে থাকা ৫০ মিটার লম্বা কাঠের সেতুটি। বসার জন্য সিমেন্টের তৈরি একাধিক বেঞ্চ ভেঙে গিয়েছে প্রায় একবছর আগে। পার্কের বেহাল দশায় ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকার বাসিন্দা ও পর্যটকদের মধ্যে।

Advertisement

তাঁদের আশঙ্কা, যে কোনওসময়ে কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সম্প্রতি, পার্কের কর্মীরা পঞ্চায়েত সমিতির কাছে লিখিতভাবে পাম্পমেশিনের মাধ্যমে ক্যানালে জল সরবরাহ এবং কাঠের সেতু ও বসার বেঞ্চগুলি মেরামতের দাবি জানিয়েছেন। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের লিয়াকত আলিও। তাঁর দাবি, টাকার অভাবেই দীর্ঘদিন ধরে পার্কটির সার্বিক সংস্কারের কাজ আটকে ছিল। তিনি বলেন, ‘‘পর্যটকদের নিরাপত্তা, স্বাচ্ছন্দ্য ও মনোরঞ্জনের স্বার্থে আমরা সেতু ও বেঞ্চ মেরামতি সহ পাম্প মেশিনের সাহায্যে ক্যানালে জল সরবরাহ করতে কত টাকা লাগতে পারে, সেই বিষয়ে হিসেব তৈরির কাজ শুরু করেছি। কত টাকা বরাদ্দ করা দরকার, সেই হিসেব হাতে আসলে সমিতির কোনও তহবিলের টাকায় কাজ শুরু করা হবে।

২০১০ সালে পক্ষীনিবাস সংলগ্ন মনিপাড়া এলাকার কুলিক খালের ওপারের প্রায় সাতবিঘা জমিতে কুলিক ইকোপার্ক তৈরি করেন তত্কালীন কংগ্রেস পরিচালিত রায়গঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি। বাসিন্দা ও পর্যটকদের পার্কে ঢোকার জন্য খালের উপরে ৫০ মিটার লম্বা ওই কাঠের সেতুটি তৈরি করা হয়। পার্কের প্রায় তিন কিলোমিটার ক্যানালটি কুলিক নদীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকলেও সেটি নদী থেকে তুলনামূলক উঁচু জমিতে তৈরি হওয়ায় বর্ষাকালের বৃষ্টি ছাড়া সেটিতে নদী থেকে জল সরবরাহ হয় না। গত দু’মাস ধরে রোদের তাপে ক্যানালের জল তলানিতে এসে ঠেকায় বোটিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে পর্যটকের সংখ্যা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন