উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু। —ফাইল চিত্র
সবে ১২ মার্চ দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন খগেন মুর্মু। তার পর থেকেই জেলায় জল্পনা ছিল, তাঁকে টিকিট দিতে পারে বিজেপি। দেখা গেল, জল্পনার ভিত্তি রয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি, তাতে উত্তর মালদহ কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে খগেনকে। পাশাপাশি মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে দলের প্রার্থী হলেন শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। খগেনের বাছাই নিয়ে এর মধ্যেই দলে ক্ষোভ বাড়ছে।
খগেনকে নিয়ে ফ্লেক্স পড়তে শুরু করে গত কয়েক দিন ধরেই। সেখানে তাঁকে জমি মাফিয়া বলে উল্লেখ করা হয় বলে অভিযোগ।
হবিবপুর থেকে তিন বারের সিপিএম বিধায়ক খগেন। গত বারে উত্তর মালদহ কেন্দ্র থেকে মৌসমের বিরুদ্ধে লড়ে হেরে যান তিনি।
কেন সিপিএম থেকে আসা খগেনের উপরে আস্থা রাখলেন দলীয় নেতৃত্ব? বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, উত্তর মালদহে এ বারে দলের ভাল ফল করার সম্ভাবনা রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলেই তার ইঙ্গিত মিলেছে। এমন অবস্থায় খগেনকে দাঁড় করানো যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ১৯৯৩ সাল থেকে তিনি জনপ্রতিনিধি। ১৯৯৩, ১৯৯৮ সালে জেলা পরিষদের সদস্য। ২০০৬ সালে হবিবপুর বিধানসভা থেকে জয়ী হন তিনি। তার পর টানা বিধায়ক।
ফলে খগেন ভোটে লড়াই করলে জোর টক্কর দেওয়া যাবে বলে মত বিজেপি নেতাদের একাংশের। খগেন বলেন, “দলে কোনও ক্ষোভ নেই। মানুষ বিজেপির জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। জেলায় ফিরে সকলকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করব।”
খগেন যখন দলে এলেন, তখন রাজ্য নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন জেলা নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে এখনও জেলায় ফেরেননি খগেন মুর্মু। আজ, শনিবার দুপুরে মালদহে আসতে পারেন তিনি।
জেলা নেতারা বলছেন, দলের সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব যখন প্রার্থী নির্বাচন করেছেন, তখন তাঁকেই মেনে নিতে হবে সকলকে। একই কথা মালদহ দক্ষিণের ক্ষেত্রেও খাটে। সেখানেও ক্ষোভ বিক্ষোভ রয়েছে। অনেকেই শ্রীরূপাকে মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহদের বাছাই দলের সকলকেই মেনে নিতে হবে।