প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের বহু বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারলনা বিরোধী বিজেপি। এ জন্য অবশ্য শাসক তৃণমূলের সন্ত্রাসকেই দায়ী করেছেন বিরোধী নেতারা৷
গত লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি লোকসভা আসনটি বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল৷ বামেদের ওই ভোটে দ্বিতীয় স্থান পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়৷ জোরালো মোদী হাওয়া থাকলেও তৃণমূল ও বাম থেকে অনেকটা পিছিয়ে থেকে তৃতীয় স্থান পায় বিজেপি৷ তবে পরবর্তীকালে উত্তরবঙ্গের আরও অনেক জায়গার সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও তৃণমূলের মূল বিরোধী শক্তি হিসাবে উঠে আসে বিজেপি। নানা ভোটে বিজেপির ফলও আগের থেকে ভাল হয়। তবে তৃণমূলের নেতারা বারবার দাবি করেছেন বিজেপি নিয়ে তাঁরা চিন্তিত নন।
বিজেপি সূত্রেরই খবর, এ দিন জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে বিভিন্ন বিধানসভা এলাকায় অনেক বুথেই পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি তারা। দল সূত্রের খবর, শুধু জলপাইগুড়ি শহরেই ৩০টি বেশি বুথে তাদের কোনও পোলিং এজেন্ট ছিলনা৷ একইভাবে জলপাইগুড়ি সদর ব্লক, মালবাজার ও ময়নাগুড়িতেও বেশ কিছু বুথে তারা পোলিং এজেন্ট দিতে পারেননি বলে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ৷ যদিও বিজেপির জেলা নেতৃত্বের দাবি, এত বুথে পোলিং এজেন্ট না দিতে পারার অভিযোগ ঠিক নয়৷ তাঁদের দাবি, তৃণমূলের সন্ত্রাসের জন্য কিছু বুথে তাঁরা এজেন্ট দিতে পারেননি। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর অভিযোগ, “বুধবার রাত থেকেই বেশ কিছু জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টকে নানাভাবে ভয় দেখাতে শুরু করে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী৷ সেজন্য কয়েকটি বুথে আমাদের এজেন্টরা ভয়ে যাননি৷ বাকি বুথে আমাদের এজেন্ট ছিল৷” তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী পাল্টা বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম, পোলিং এজেন্ট দেওয়ার জন্য অনেক বুথে বিজেপি লোকি খুঁজে পাবে না৷ বাস্তবে সেটাই সত্যি হল৷”
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
তৃণমূল সূত্রের খবর, সই না মেলায় জলপাইগুড়ি লোকসভার বেশ কিছু বুথে ভোটের শুরুতে এ দিন তাদের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেননি প্রিসাইডিং অফিসারেরা৷ পরে অবশ্য তাঁরা বুথে ঢোকেন৷ যা অস্বীকার করেননি তৃমমূলের জেলা সভাপতি৷ তবে সৌরভের দাবি, “মালবাজারে মাত্র দুটি বুথে এই ঘটনা ঘটেছে৷ পরবর্তীতে আমাদের এজেন্ট সেখানে গিয়ে সমস্যা মিটিয়ে দিয়েছেন৷” এ দিন জলপাইগুড়ির বহু বুথে পোলিং এজেন্ট দিতে পারেনি বাম ও কংগ্রেসও৷ যদিও দু’দলেরই দাবি, বেশিরভাগ বুথেই তাদের এজেন্ট ছিল৷