বিহার বর্ডার লাগোয়া দুই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে গত ১৩ মার্চ এক বৈঠক হয় ইসলামপুরে। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনে আগে জেলা জূড়ে কড়া ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হল জেলা পুলিশ। লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা বেড়েছে। তার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ-বিহার সীমানা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ এবং বিহার সীমান্ত এলাকায় নাকা চেকিং পয়েন্টগুলোতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এই বিষয়ে নির্বাচনের কমিশনের কাছে জেলা পুলিশ প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
জেলার জাতীয় সড়ক সহ এবং বিহার লাগোয়া গ্রামীণ এলাকায় ১৮টি নাকা চেকিং পয়েন্ট রয়েছে। এই পয়েন্টগুলোতে জেলা পুলিশের তরফ থেকে ইতিমধ্যে জোরদার করা হয়েছে নজরদারি। গত তিন দিনে জেলায় এই নাকা চেকিং পয়েন্টগুলো থেকে বেআইনি টাকা উদ্ধার করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ছ’জনকে। সে কারণেই আরও জোর পেয়েছে এই দুই রাজ্যের সীমানা এলাকায় চেকিং পয়েন্টগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর জন্য সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রস্তাব। ভিন্ রাজ্যের গাড়ি করে এই রাজ্য প্রবেশ করলেই পুলিশ গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালিয়ে তবে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে।
বিহার বর্ডার লাগোয়া দুই রাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে গত ১৩ মার্চ এক বৈঠক হয় ইসলামপুরে। বৈঠকে ছিলেন উত্তরবঙ্গ পুলিশের আই জি আনন্দকুমার। মালদহ, দুই দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলার পুলিশ কর্তারাও ছিলেন। বিহার পুলিশের পূর্ণিয়া রেঞ্জের ডিআইজি, কাটিহার, কিসানগঞ্জের পুলিশকর্তারাও ছিলেন। ভোটের সময় দুষ্কৃতীরা যাতে সীমানা পেরিয়ে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়া-আসা করতে না পারে, তা ঠেকাতে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
জেলা পুলিশের এক কর্তা স্বীকার করেন, বিহার থেকে অস্ত্র ঢুকে পড়ছে। আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। পুলিশ সুত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, শুধু জাতীয় সড়ক পথ নয়, গ্রামীণ সীমান্ত ঘেঁষা সড়ক পথের উপরেও এই দুই রাজ্যের পুলিশের কড়া নজর থাকবে। উত্তর দিনাজপুর ও দার্জিলিং জেলার বেশ কিছু এলাকা সীমান্ত বরাবর। ভোটের সময় যাতে এই বর্ডার এলাকা পেরিয়ে দুষ্কৃতকারীরা আর যাতায়াত করতে না পারে তার জন্য এই উদ্যোগ।