general-election-2019-west-bengal

উৎকণ্ঠা নিয়ে জন্মদিনে ইশা

এ দিন সকালে গিয়ে দেখা গেল, হাভেলির মূল ফটক অর্ধেক খোলা। হাভেলি চত্বরের আমগাছের নীচে বসে গল্পে ব্যস্ত তিন প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০৪:৫৩
Share:

সপরিবারে: ইশার জন্মদিন পালন। মেতেছে মৌসমের ছেলে-মেয়েও। বুধবার কোতোয়ালিতে। নিজস্ব চিত্র

মালদহের রাজনীতিতে কোতোয়ালি হাভেলি বরাবরই প্রাসঙ্গিক। সেই বরকত গনিখান চৌধুরীর সময় থেকে এখনও পর্যন্ত সেই ধারাই রয়ে গিয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও জেলার দু’টি আসনই ছিল কোতোয়ালি পরিবারের হেফাজতেই।

Advertisement

তবে এবারের নির্বাচনে কোতোয়ালি হাভেলির রাজনৈতিক পটচিত্র কিন্তু একেবারেই আলাদা। বিশেষ করে এই পরিবারেরই সদস্য মৌসম নুর কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের দরবারে চলে যাওয়ায় ছবিটা বদলে গিয়েছে। এর জেরে দুই লোকসভা আসনের তিন প্রার্থী কোতোয়ালি ভবনেরই বাসিন্দা। কিন্তু গত ভোটের মতো এবারে এই হাভেলির কারও মাথায় আদৌ বিজয় মুকুট উঠবে, নাকি কোতোয়ালির বিজয়রথ থমকে যাবে, তা নিয়ে বুধবার সকাল থেকে আলোচনায় মুখর মালদহ।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

Advertisement

ভোটের ফলের উৎকণ্ঠায় এ দিন ইশা খান চৌধুরী নিজের ঘরেই ছিলেন সারাদিন। এ দিন ছিল তাঁর জন্মদিন। সন্ধেয় বাড়ির সকলের উপস্থিতিতে তিনি কেক কাটেন। বাবা আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। পরিবারের মধ্যে ভোটের লড়াই নিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক মতাদর্শের লড়াই হয়েছে। মানুষ যাকে ভোট দিয়েছেন, তিনিই জিতবেন।”

এ দিন সকালে গিয়ে দেখা গেল, হাভেলির মূল ফটক অর্ধেক খোলা। হাভেলি চত্বরের আমগাছের নীচে বসে গল্পে ব্যস্ত তিন প্রার্থীর নিরাপত্তারক্ষীরা। বাড়ির ভিতরে গুটিকয়েক কংগ্রেস কর্মী। এ দিন সকাল সাড়ে ৯টাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ডালু। তাঁর চোখে ছিল উৎকণ্ঠা। বেরনোর আগে ফলাফল নিয়ে তিনি বলেন, “মালদহের মানুষের হৃদয়ে এখনও বরকত সাহেব রয়েছেন। মানুষ তাঁকে দেখেই ভোট দিয়েছেন। তাই ফল নিয়ে আমি চিন্তা করি না। কিন্তু ব্যবধান কী হবে সেটাই ভাবাচ্ছে।” মৌসম প্রসঙ্গে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দুপুরের দিকে বাড়ি থেকে বের হন মৌসম নুর। চোখেমুখে তারও উদ্বেগের ছাপ লক্ষ করা গিয়েছে। বাড়ি থেকে তিনি চলে যান ইংরেজবাজারে নিজস্ব কার্যালয়ে। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গণনা সংক্রান্ত বিষয়ে দিনভর আলোচনা করেন। কোতোয়ালি বাড়ির লড়াই নিয়ে মৌসম বলেন, “ভোট রাজনৈতিক লড়াই। এখানে পরিবারের অন্য সদস্যরা লড়াইয়ে থাকলে কিছু করার নেই। মানুষ ভোটে প্রমাণ হবে, তাঁরা কাকে চান।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement