রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
খেলার মাঠ নষ্ট করে মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল। রাত পোহালেই মঙ্গলবার রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে জনসভা করবেন। সে কারণে রায়গঞ্জ স্টেডিয়ামের গোটা মাঠ খুঁড়ে সভার আয়োজনের জন্য খুঁটিপোতা হয়েছে।
স্টেডিয়ামের মাঠেরই একধারে হেলিপ্যাড করা হয়েছে। অন্য অংশে সভামঞ্চ। বাসিন্দাদের বসার জায়গা, মঞ্চ, হেলিপ্যাডের এলাকা ভাগ করতে মাঠ জুড়েই গর্ত খুঁড়ে শতাধিক শাল গাছের খুঁটি বসানো হয়েছে। মাঠের মাঝে ক্রিকেট খেলার পিচ সেটিও নষ্ট হয়ে পড়েছে। মাঠে সভার আয়োজনের জন্য বড় বড় গাড়ি ঢোকায় চাকার দাগ বসে গিয়েছে পিচের উপরে। তাতে ক্ষুব্ধ ক্রীড়াপ্রেমীদের একাংশ।
স্টেডিয়াম কমিটির সভাপতি রয়েছেন জেলাশাসক, সম্পাদক মহকুমাশাসক। বছরভর জেলাক্রীড়া সংস্থাই মাঠের দেখভাল করেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সচিব সুদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্টেডিয়াম কমিটিই পুরো বিষয়টি দেখছেন। তারাই যা বলার বলবেন।’’ মহকুমাশাসক রজত কান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনের তথা সরকারের অনুমতি নিয়েই ওই সভা করা হচ্ছে। মাঠের কোনও ক্ষতি হলে তা ঠিক করে সভার পর আগের মতো মাঠের অবস্থা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’’
ক্রীড়াপ্রেমীদের একাংশের প্রশ্ন, মাঠ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া অবশ্যই দরকার। কিন্তু সব চেয়ে ভাল হয় মাঠ খোঁড়াখুড়ি করে এ ধরনের সভা না করা। বা মাঠকে এমন কোনও কাজে না ব্যবহার করা যাতে তার ক্ষতি হয়। খেলার মাঠ নষ্ট করে সভা করার পক্ষে নয় বিজেপির মতো বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও। বিজেপির জেলা সভাপতি নির্মল দাম বলেন, ‘‘স্টেডিয়ামের খেলার মাঠে এ ধরনের সভা করা উচিত নয়। তবে তৃণমূল সে সব বোঝে না।’’