general-election-2019-vote-colour

রোদ-যুদ্ধে কারও ভরসা নুনজল, কারও চকোলেট

একটা করে দিন এগোচ্ছে, আর ভোটপ্রচারের উত্তাপ বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রার পারদও।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা 

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৯ ০৫:৩৩
Share:

রসদ: প্রচারে বেরনোর আগে মৌসম। নিজস্ব চিত্র

কেউ ঘুরতে ঘুরতে অবসর পেলেই মুখে দিচ্ছেন চকোলেট। কেউ টুক করে বোতল থেকে নুনজল গলায় ঢেলে নিচ্ছেন। আবার রাস্তার ধারে ডাবওয়ালাকে ডেকে তেষ্টা মিটিয়ে নিচ্ছেন কেউ কেউ। সারাদিন প্রচারে বেরিয়ে ভরা চৈত্রে এইসব টোটকাতেই নিজেদের সুস্থ রাখছেন ভোটপ্রার্থীরা।

Advertisement

একটা করে দিন এগোচ্ছে, আর ভোটপ্রচারের উত্তাপ বাড়ছে। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাপমাত্রার পারদও। এসব সহ্য করেই প্রচারের ময়দানে ঝাঁপাতে হচ্ছে প্রার্থীদের। পিছিয়ে নেই মালদহের বিভিন্ন দলের প্রার্থীরাও। এই রোদ সঙ্গে করে আরও একমাস টানা মাঠেঘাটে ছুটে বেড়াতে হবে মৌসম নুর, আবু হাসেম খান চৌধুরী, ইশা খান চৌধুরীদের। তাই শুরু থেকেই সতর্ক তাঁরা। দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী এবার আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ৮১ বছরের ডালু। রোদ মাথায় নিয়ে ছুটছেন নিজের নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ৯টার মধ্যেই কোতোয়ালি ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ছেন। সারাদিন প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছেন রাতে। এরই মধ্যে খাওয়াদাওয়াও সেরে নিতে হচ্ছে তাঁকে। নিয়মিত চকোলেট খাচ্ছেন ডালু। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তাঁর প্লেটে থাকে স্যান্ডউইচ আর চকলেট। দুপুরের দিকে হাল্কা মাছের ঝোল দিয়ে ভাত। তিনি বলেন, “সারা বছর নিয়ম মেনেই খাওয়াদাওয়া করি। তবে ভোটের সময় আরও হাল্কা খাবার খাই। কারণ মানুষের জন্য কাজ করতে হলে শরীর সুস্থ রাখা খুব জরুরি।”

গরম থেকে বাঁচতে নুনজলেই আস্থা রাখছেন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন। সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় চা-বিস্কুট খেয়ে নিচ্ছেন। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করছেন দলীয় কর্মীর বাড়িতেই। পানীয় জল হিসেবে খাচ্ছেন নুনজল। তিনি বলেন, “গরমের কারণে শরীরে প্রচণ্ড ঘাম হয়। ফলে শরীরে নুনের পরিমাণ কমে যায়। তাই নুনজল খাচ্ছি।” উত্তর মালদহের তৃণমূলের প্রার্থী মৌসম নুর আবার আস্থা রাখছেন ডাবের জলের উপরেই। তবে সকালে বাড়ি থেকে বেরনোর সময় খেয়ে নিচ্ছেন ভাত। সামান্য পরিমাণে ভাতের সঙ্গে ডাল আর আলুভাজা খেয়ে বেরিয়ে পড়ছেন তিনি। আর প্রচারের ফাঁকে ডাব খাচ্ছেন নিয়ম করে। মাঝেমধ্যে ঠান্ডা পানীয়ের লোভও ছাড়তে পারছেন না। তিনি বলেন, “সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। তাই ভাত খেয়েই বেরোচ্ছি। তাতে দুপুরে খাওয়ার তেমন চাহিদা থাকছে না।”

Advertisement

কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী আবার জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য কর্মীদের সঙ্গে হোটেলে বসেই খাওয়া-দাওয়া সারছেন। তবে তাঁর মেনুতে অবশ্যই থাকছে টক দই। সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ আবার সকালে বাড়ি থেকে ছাতুর সরবত খেয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। মেনু বদলেছে ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুরও। ঢ্যাঁড়শ আর আলুসেদ্ধ দিয়ে হাল্কা করে ভাত খেয়ে প্রচারে বেরিয়ে পড়ছেন তিনি। তবে দুপুরের দিকে প্রচারের ফাঁকে তিনি নিয়ম করে শসা খাচ্ছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন