general-election-2019-vote-colour

একটু তরকারি হবে? আবদার মৌসমের

কোথাও আবার মায়েদের আবদার মেনে কচিকাঁচাদের সঙ্গে তুলতে হল ছবি। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাঁচল শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০২:৫৮
Share:

হাজির: মালদহে প্রচারে মৌসম নুর। পেছনে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেসের ইশা খান চৌধুরীর দেওয়াল লিখন। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

হুড-খোলা গাড়ি আছে ঠিকই। কিন্তু সেই গাড়ি চড়ে যে প্রচার চালাবেন তার উপায় নেই। এলাকার দু’বারের সাংসদ তিনি। সকলেরই অতি পরিচিত মুখ। তাই তাঁকে দেখে পথের মোড়ে মোড়ে আবদার! গাড়ি ছেড়ে তাই পথে নামতেই হল। তারপর কখনও টানা হেঁটে, কখনও গ্রামের মহিলাদের আবদারে ঢুকতে হল তাঁদের বাড়ির উঠোনে। কাউকে নমস্কার করলেন, কাউকে আদাবের। কোথাও আবার মায়েদের আবদার মেনে কচিকাঁচাদের সঙ্গে তুলতে হল ছবি।

Advertisement

মঙ্গলবার মালদহের চাঁচল মহকুমায় নির্বাচনী প্রচারে সারাদিন এ ভাবেই দাপিয়ে বেড়ালেন তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুর। ঘুরতে ঘুরতেই একসময় হরিশ্চন্দ্রপুরের মঙ্গলগ্রামে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে সোজা ঢুকে পড়লেন। বসে পড়লেন বারান্দায়। তারপরই একটু তরকারি পাওয়া যাবে কিনা, জানতে চাইলেন বাড়ির মেয়েদের কাছে। তড়িঘড়ি কেউ একজন রান্নাঘর থেকে এক বাটি তরকারি এনে মৌসমের হাতে দিলেন। মৌসম নিজের সঙ্গে আনা পরোটা বার করে ওই তরকারির সঙ্গে খেতে শুরু করলেন। খেতে খেতেই ওই কর্মীর বাড়ির খোঁজখবর নিলেন। গ্রামের পরিস্থিতি জানতে চাইলেন। খাওয়া শেষ হতেই আবার সদলবলে পথে নেমে পড়লেন। এমনিতে প্রচারে বের হওয়ার আগে হাল্কা ডাল-ভাত খেয়েই বেরোন মৌসম। তবে এ দিন চাঁচল থেকে খেয়ে বের হওয়ার সময় সঙ্গে নিয়েছিলেন খানকয়েক পরোটা। আর সঙ্গে কয়েকটি ডাব। মঙ্গলগ্রামে প্রচারের ফাঁকে দলের কর্মী আফজল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে সেই পরোটা দিয়েই মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি।

সোমবারই মৌসমের সমর্থনে চাঁচলে নির্বাচনী প্রচার করে গিয়েছেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ফলে সারাদিন তিনি নিজে জনসংযোগের সুযোগ পাননি। সভার পর আর মালদহে কোতোয়ালির বাড়িতে ফেরেননি তিনি। চাঁচল মহকুমায় প্রচারের জন্য বারগাছিয়াপল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। আপাতত তিনদিন সেখানেই তিনি থাকবেন বলে খবর। এ দিন সাতসকালেই হুড-খোলা গাড়িতে হরিশ্চন্দ্রপুরের কনুয়ায় হাজির হন মৌসম। কর্মীরা অবশ্য তার আগেই রাস্তার দু’ধারে অপেক্ষা করছিলেন। এ দিন চারটি পঞ্চায়েতে রোড শো কর্মসূচি ছিল। কিন্তু মানুষের আবদারে রোড শো কার্যত হেঁটেই সারতে হয়েছে তাঁকে।

Advertisement

ভিঙ্গোলের একাধিক গ্রাম ঘুরে দুপুরে যান মঙ্গলগ্রামে। সেখানে কর্মীর বাড়িতে খেয়ে মহেন্দ্রপুর, তিনি তুলসিহাটার একাধিক এলাকায় সন্ধে পর্যন্ত প্রচার করেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন