শিশুকে প্রতীক-ছাপ শাড়ি পরিয়ে প্রচারে মৌসম। নিজস্ব চিত্র
মাথায় জড়ানো গাঁদা ফুলের মালা। পরনে তৃণমূলের প্রতীক দেওয়া শাড়ি। আর হাতে তৃণমূলের পতাকা। তৃণমূল প্রার্থী মৌসম নুরের কোলে এমনই সাজে বসে রয়েছে বছর ছয়ের এক রত্তি মেয়ে। মৌসমের ডান পাশেও তৃণমূলের পতাকা হাতে বসে রয়েছে বছর সাতের একটি ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে মালদহের হবিবপুর ব্লকের পার্বতীডাঙা গ্রামে। আর তাতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূল শিশুদের ভোটের কাজে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও এখানে বিতর্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছেন মৌসম।
ভোট প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মী, সমর্থকেরা কখনও ফুল, মালা দিয়ে বরণ করে নিচ্ছেন উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী মৌসমকে। অনেক জায়গায় আবার তাঁকে মিষ্টি মুখও করানো হচ্ছে। দলীয় প্রার্থীকে সংবর্ধনায় নতুনত্ব আনতে মরিয়া তৃণমূল কর্মী, সমর্থকেরা। এ দিন হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট প্রচার করেন মৌসম। রোড-শো থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে ভোট প্রচার করেন তিনি। তবে বিতর্ক তৈরি হয় হবিবপুরের পার্বতীডাঙা গ্রামের দলীয় কর্মসূচিতে। এ দিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ওই গ্রামে পৌঁছন মৌসম। ওই গ্রামে ছ’বছর বয়সের এক মেয়েকে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা শাড়ি পরানো হয়। প্রচারে গিয়ে মেয়েটিকে দেখে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কোলে তুলে নেন মৌসম। সেই সময় ওই মেয়েটির হাতে তুলে দেওয়া হয় তৃণমূলের পতাকাও। মৌসমের পাশে তখন বছর সাতেকের একটি ছেলেও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আর তা নিয়েই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু বলেন, “শিশুমন রাজনীতি বোঝে না। আর সেই শিশুদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলের পতাকা। এমনকি, শাড়ি পরিয়েও ভোট প্রচারের ময়দানে নামানো হচ্ছে।” ঘটনায় নিন্দা করেছেন কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরীও। তিনি বলেন, “বাচ্চাদের রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত। বাচ্চা সকলেই ভালবাসি। দলের শাড়ি পরিয়ে বাচ্চাদের আসরে নামানো ঠিক হয়নি।”
যদিও বিরোধীদের অভিযোগ আমল দিতে নারাজ তৃণমূল শিবির। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের একাংশ জানিয়েছে, এখানে প্রার্থীর কোন ভূমিকা নেই। দলের কর্মী তাঁর মেয়েকে সাজিয়েছেন। মৌসম বলেন, “ছোটবেলায় আমরাও দলের পতাকা নিয়ে খেলা করতাম। বিরোধীরা জোর করে বিতর্ক করার চেষ্টা করছে।”