রোড শোয়ে অঙ্কুশ ও পায়েল।
রবিবার হেমতাবাদের বিভিন্ন এলাকায় তিন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর রোড শোকে কেন্দ্র করে বাসিন্দাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে। অন্তত প্রশাসন সূত্রের খবর তেমনটাই। ওই রোড শোয়ের জেরে ওই দিন হেমতাবাদ সদর এলাকার রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্যসড়ক দীর্ঘ ক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
এই পরিস্থিতিতে আজ, মঙ্গলবার টলিউডের অভিনেতা দেবের রোড শোকে কেন্দ্র করে বাসিন্দাদের ভিড়ে রায়গঞ্জ শহর অবরুদ্ধ হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের। সূত্রের খবর, সে রকম পরিস্থিতি হলে কী ভাবে ভিড় সামাল দিয়ে শহরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন জেলা পুলিশের কর্তারা।
উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার সুমিত কুমারের অবশ্য বক্তব্য, ‘‘সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতা, নেত্রী, অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের রোড শো নির্বিঘ্নে শেষ করতে পুলিশের নজরদারি ও সক্রিয়তা থাকে। কোনও রোড শো-কে কেন্দ্র করে যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয়, সে ব্যাপারে সচেনতন থাকতে হবে বাসিন্দাদেরও।
রবিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হেমতাবাদ ব্লকের হেমতাবাদ, বাঙালবাড়ি, নওদা, বিষ্ণপুর ও চৈনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় হুডখোলা গাড়িতে চেপে রোড শো করেন বাংলাদেশের অভিনেতা ফিরদৌস। তাঁর সঙ্গে ওই রোড শোয়ে হাজির ছিলেন টলিউডের দুই অভিনেতা ও অভিনেত্রী, অঙ্কুশ ও পায়েল। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে আয়োজিত হয় ওই রোড শোর। শো চলাকালীন তিন অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে দেখতে হেমতাবাদের বিভিন্ন এলাকার রায়গঞ্জ-বালুরঘাট রাজ্যসড়কে বাসিন্দাদের ভিড় আছড়ে পড়ে। হেমতাবাদের ঠাকুরবাড়ি থেকে বাঙালবাড়ি মোড় পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ যানজটের জেরে দুর্ভোগে পড়েন বাসিন্দারা।
তৃণমূলের দাবি, আজ, মঙ্গলবার কানাইয়ার সমর্থনে দুপুর তিনটে নাগাদ রায়গঞ্জের মার্চেন্টক্লাব মাঠ থেকে হুডখোলা গাড়িতে চেপে রোড শো শুরু করবেন টলিউডের অভিনেতা দেব। প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার শহরের প্রধান রাস্তার উপর দিয়ে গিয়ে তা শেষ হবে শিলিগুড়িমোড় এলাকায়। গত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের তরফে শহরে মাইকযোগে ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বাসিন্দাদের দেবের রোড শো-তে হাজির হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, ‘‘ডিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার দেবের রোড শো দেখতে রাস্তার দু’ধারে হাজার হাজার মানুষ জমা হবেন। তার জেরে ওইদিন শহরের হাসপাতাল রোড থেকে শিলিগুড়িমোড় পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকার রাজ্যসড়কে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা। যানজট রুখতে শহর জুড়ে প্রায় দেড়শো জন পুলিশ কর্মীকে মোতায়েন করা হবে। রোড শো দেখার জন্য বাসিন্দারা যাতে রাস্তার উপরে উঠে না পড়েন, তার জন্য শহরের হাসপাতালরোড, মহাত্মাগাঁধী রোড, নেতাজি সুভাষরোড, মোহনবাটী, সুপারমার্কেটের মতো বিভিন্ন এলাকার রাজ্যসড়কের দু’ধারে দড়ি ধরে বাসিন্দাদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা হবে।