দেওয়াল লিখছে কন্যাশ্রীর মেয়েরা

শুক্রবার দেওয়াল লিখতে ব্যস্ত ছিলেন ডালখোলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লায়লি খাতুন, আয়েশা খাতুনেরা। জানালেন, দেওয়াল লেখার অভিজ্ঞতা এই প্রথম।

Advertisement

মেহেদি হেদায়েতুল্লা

শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৯ ১২:০৫
Share:

উদ্যোগী: কন্যাশ্রীর মেয়েদের দেওয়াল লিখন। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে দেওয়াল লিখছে কন্যাশ্রীরা। রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটের প্রচারে এই নতুন চমক নিয়ে হাজির তৃণমূল। শুক্রবারই করণদিঘিতে দেখা গেল, তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে দেওয়াল লিখছে কন্যাশ্রীর মেয়েরা। করণদিঘির যুব তৃণমূলের উদ্যোগে তারা দেওয়ালে এঁকেছে ঘাসফুল। ছড়ার মাধ্যমে বুঝিয়েছে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের কতটা সুবিধা পেয়েছে তারা। আর শেষে এক কোনায় লেখা —সৌজন্য কন্যাশ্রী।

Advertisement

ভোটের দিন ঘোষণার পরেই প্রচারের অন্যতম মাধ্যম দেওয়াল লিখতে নেসে পড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। দেওয়াল জুড়ে দেখা মেলে ছড়া ও কার্টুনের। সব দলই তাতে কিছু না কিছু চমক দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই মতো এ বার করণদিঘিতে দেওয়াল লিখছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে উপকৃত মেয়েরা। নাবালিকা বিয়ে রোখা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রচার অভিযানের জন্য গড়ে উঠেছে কন্যাশ্রী ক্লাব। সেই মেয়েদের প্রচারে নামানো নিয়ে আবার প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।

তৃণমূল নেতাদের ব্যখা, রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী প্রকল্পের কথা জানে গোটা বিশ্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিভিন্ন সভায় এই প্রকল্পের মেয়েদের প্রশংসা করেছেন। ভোটের প্রচারে এই প্রকল্প যেমন তুলে ধরা হচ্ছে, তেমনি যারা উপকৃত হয়েছে, তারা দেওয়ালে প্রকল্পের বিষয়ে লিখছে তারা। প্রশাসন সুত্রের খবর, অষ্টম শ্রেণি থেকে এই প্রকল্পে বছরে এক হাজার টাকা করে পায় ছাত্রীরা। ১৮ বছর পূর্ণ হলে এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেও মেলে সুযোগ। করণদিঘির যুব তৃণমূল সভাপতি মহম্মদ আজাদ বলেন, ‘‘প্রচারে বৈচিত্র্য আনতেই এই ভাবনা। তা ছাড়া, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরা এই কাজে এগিয়ে এলে ভাল হয়।’’

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শুক্রবার দেওয়াল লিখতে ব্যস্ত ছিলেন ডালখোলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী লায়লি খাতুন, আয়েশা খাতুনেরা। জানালেন, দেওয়াল লেখার অভিজ্ঞতা এই প্রথম। অন্য রকম অনুভুতি হচ্ছে। আর এক ছাত্রী আফসানার কথায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা উপকৃত হয়েছি। তা তুলে ধরতে পারছি লিখনের মাধ্যমে।

এই প্রসঙ্গে সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ সিংহ বলেন, ‘‘প্রকল্পের উপভোক্তাদেরও ভোটের কাজে লাগানো কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের যে হাল খারাপ, তা বোঝা যাচ্ছে।’’ বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ মৃধা বলেন, ‘‘তৃণমূল শুধু কন্যাশ্রী নয়, যুবশ্রী-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের উপভোক্তাদের ভোটের কাজে নামিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূলের সঙ্গে লোক নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement