নিষ্ক্রিয় কর্মী নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে কুমারগ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একটা অংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সেই অংশের অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েন। অনেকে আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। যার জেরে ওই ব্লকে তৃণমূলকে বেগ দেয় বিজেপি। 

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

কুমারগ্রাম শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০৭:৫১
Share:

লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। অথচ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিষ্ক্রিয় থাকা দলের কর্মীদের অনেককেই এখনও সক্রিয় করা যায়নি বলে অভিযোগ। যার জেরে কুমারগ্রাম ব্লকের বিভিন্ন জায়গা নিয়ে চিন্তা কেটেও কাটছে না আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একটা বড় অংশের। জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য নিশ্চিত, দলের বিক্ষুব্ধ অংশের প্রত্যেকেই দলের প্রার্থীকে জেতাতে ময়দানে ঝাঁপাবেন।

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগে কুমারগ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের একটা অংশ বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। সেই অংশের অনেকেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়েন। অনেকে আবার নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। যার জেরে ওই ব্লকে তৃণমূলকে বেগ দেয় বিজেপি।

কুমারগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতি ছাড়াও ওই এলাকায় জেলা পরিষদের একটি আসন এবং ব্লকে তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতে জয় ছিনিয়ে নেন বিজেপি প্রার্থীরা। পরে দলবদলের জেরে একাধিক বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। কিন্তু ফল নিয়ে চিন্তা বাড়তেই থাকে দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধদের বোঝাতে ময়দানে নামেন দলের জেলা নেতারা। বিক্ষুব্ধদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠকও করেন তাঁরা। কিন্তু ব্লকের স্থানীয় নেতাদের একাংশের অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়া নেতা-কর্মীদের অনেকেই এখনও নিষ্ক্রিয়। দলের এক ব্লক নেতার কথায়, অসম সীমানা লাগোয়া এই এলাকায় এমনিতেই বিজেপির একটা চোরা স্রোত রয়েছে। তার উপর নেতা-কর্মীদের একটা অংশের নিস্ক্রিয় থাকাটা চিন্তার।

যদিও এমনটা মানতে নারাজ দলের ব্লক শীর্ষ নেতৃত্ব। তৃণমূলের কুমারগ্রাম ব্লক সভাপতি দুলাল দে বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আর ওই পরিস্থিতি নেই। পঞ্চায়েত ভোটের সময় নিষ্ক্রিয় থাকা নেতা-কর্মীরা প্রত্যেকেই এখন সক্রিয়।’’ কুমারগ্রামের বাসিন্দা তথা তৃণমূল প্রার্থী দশরথ তিরকে বলেন, ‘‘দলের বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে আমি একাধিকবার বৈঠকে বসেছি৷ ওনারা সবাই আমার হয়ে প্রচারে নামবেন বলে জানিয়েছেন৷’’

যদিও বিজেপির এক জেলা নেতার দাবি, এখনই দলবদল না করলেও কুমারগ্রামে তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের অনেকেই স্থানীয় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তাঁদের সাহায্যেই এ বারের লোকসভা নির্বাচনেও ওই ব্লকে বিজেপি অনেক ভোটে এগিয়ে থাকবে।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা অবশ্য বলেন, ‘‘কুমারগ্রামে কোনও সমস্যা নেই। জেলার অন্য ব্লকগুলির মতোই কুমারগ্রামেও তৃণমূল প্রার্থী বিপুল ভোটে জিতবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন