প্রতীকী ছবি।
আদিবাসী ভোট নিয়ে এবার চিন্তা শাসক দলে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকটি ব্লক আদিবাসী অধ্যুষিত। সেখানে আদিবাসী সম্প্রদায়ের একটি বড় ভোট ব্যাঙ্ক রয়েছে। কিন্তু সেই ভোট এবার কাদের দিকে ঝুঁকবে সেটাই এখন দেখার।
সম্প্রতি মালদহে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভায় আদিবাসীর সম্প্রদায়ের লোকজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এরপর বিজেপিকে টক্কর নিতে ওইখানেই তৃণমূলের পাল্টা সভায় আদিবাসীদের উপস্থিতি ছিল একেবারেই নগণ্য। এরপর চিন্তায় পড়ে যায় শাসক দল। একই চিন্তা এই জেলার নেতাদেরও। কারণ এখান থেকেও প্রচুর আদিবাসী অমিতের সভায় যান। জেলার তৃণমূল নেতা প্রবীর রায় বলেন, ‘‘আদিবাসী ভোটের কিছুটা হয়তো অন্যদের দিকে গিয়েছে। আমরা সেটা ফেরানোর চেষ্টা করছি।’’
সূত্রের খবর, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত আটটি ব্লকের ছ’টি বিধানসভায় আদিবাসীদের প্রায় ১৯ শতাংশ ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। এই লোকসভার অন্তর্গত উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার বিধানসভাতেও আদিবাসীদের আধিপত্য রয়েছে। তপন, গঙ্গারামপুর, কুশমণ্ডি ও ইটাহার ব্লকে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেই আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভোট ব্যাঙ্কের গতিপ্রকৃতি প্রবল ভাবে লক্ষ্য করা গিয়েছে। নানা ইস্যুতে আদিবাসীদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশই তৃণমূলের উপরে ক্ষুব্ধ। তার আঁচ পঞ্চায়েত নির্বাচনেই দেখা গিয়েছে। জঙ্গলমহল থেকে শুরু করে যেসব এলাকায় আদিবাসীদের প্রভাব রয়েছে সেখানে সেখানেই রাজ্যের শাসকদল পরাজিত হয়েছে। সেই ভোট নিয়েই বিজেপি উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই এই জেলাতেও আদিবাসীদের হাত ধরে বিজেপি বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করতে পেরেছে। বিজেপি জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকারের দাবি, ‘‘আদিবাসীদের প্রকৃত উন্নয়নে কোনও কাজই করেনি তৃণমূল। আমাদের বিশ্বাস সেই নিরিখে আদিবাসী ভাইয়েরা আমাদের সঙ্গে থাকবেন।’’
আদিবাসী জমি রক্ষা কমিটির ইটাহার ব্লক সভাপতি মার্কস মার্ডি বলেন, ‘‘আমাদের সম্প্রদায়ের ভোট একজোট হচ্ছে। সেটা যেদিকে যাবে তাদের পাল্লা যে ভারী হবে, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’’