দোলের মধ্যে মাঠ ভরানোর চ্যালেঞ্জ কংগ্রেসের

উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছেন রাহুল।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা 

শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৯ ০৫:৫২
Share:

আজ চাঁচলে জনসভা রাহুল গাঁধীর। —ফাইল চিত্র

শহর থেকে গ্রাম। শুক্রবার সকাল থেকেই হোলি উৎসবে মেতেছেন মালদহবাসী। আর আজ, শনিবার দুপুরে চাঁচলে কর্মিসভা করবেন রাহুল গাঁধী। রঙের উৎসবের মধ্যে সর্বভারতীয় সভাপতির সভায় মাঠে লোক ভরানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মালদহের কংগ্রেস শিবির। তাই মাঠে লোক টানতে হোলির দিনও সর্বত্র প্রচার চালাচ্ছেন জেলার নেতারা। যদিও তাঁদের দাবি, রাহুলের সভায় হোলি বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। তবে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন জেলা কংগ্রেস নেতারা। যদিও অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল।

Advertisement

পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের গড় মালদহে থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। ফলে উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্র থেকে রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছেন রাহুল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ৩টে নাগাদ সভায় যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। হেলিকপ্টারে করে তিনি কলমবাগানের মাঠেই নামবেন। তার জন্য হেলিপ্যাডও তৈরি হয়ে গিয়েছে।

সভায় প্রায় দেড় লক্ষ কর্মী-সমর্থকদের হাজির করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কংগ্রেস। মাস দুয়েক আগে পুরাতন মালদহের সাহাপুরের নিত্যানন্দপুর গ্রামে জনসভা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর সভার সপ্তাহ খানেকের মধ্যে ওই মাঠেই পাল্টা সভা করে তৃণমূল। দু’দলেরই সভায় জনসমাগম হয়েছিল চোখে পড়ার মতো। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী কংগ্রেসকে পাল্টা সভা করার জন্য চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।

Advertisement

তবে কংগ্রেস নেতৃত্বের একাংশ জানান, মালদহে হোলির রেশ ২৪ ঘণ্টা পরেও থেকে যায়। অনেকে আত্মীয়ের বাড়িতেও ঘুরতে যান। ফলে রঙের উৎসবের পরের দিনই সভা করা চ্যালেঞ্জের বিষয়। জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, “উৎসবের মেজাজেই কর্মী, সমর্থকেরা সভায় আসবেন। তাই সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মৌসম নুর কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছেন যাতে রাহুল গাঁধীর সভায় লোক না হয়। কারণ উনি ভয় পেয়েছেন।’’ মৌসম বলেন, “একেবারে ভিত্তিহীন অভিযোগ। ওই মাঠেই আমরা পাল্টা সভা করব।”

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement