‘ভোটের নামে হানাহানি বন্ধ হোক’

দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সামাজিক ও আর্থিক ভেদাভেদ ছাপিয়ে প্রতিনিধি বেছে নেন মানুষ। কিন্তু নাগরিক সুযোগ-সুবিধার বাইরে বাস করা আমজনতা এই গণতন্ত্রের অধিকারকে কী চোখে দেখেন?গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে সামিল হওয়া উচিত সবার।

Advertisement

পবন টপ্পো

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ১০:৪৬
Share:

ভোট অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমি মনে করি ভোট দেওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অত্যন্ত জরুরি কর্তব্য। কেননা ভোটের মাধ্যমেই আমরা এলাকার প্রতিনিধিকে সাংসদ করে পার্লামেন্টে পাঠাই। আমাদের এলাকার বিভিন্ন সমস্যা আমাদের হয়ে তিনিই সেখানে তুলে ধরেন। আর এর মাধ্যমেই সরকার, দেশ এবং দেশবাসীর উন্নয়নের জন্য দরকারি কর্মপন্থা ঠিক করে।

Advertisement

তাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় এই উৎসবে সামিল হওয়া উচিত সবার।

তবে কাকে বা কোন দলকে মানুষ ভোট দেবেন, সেটা তাঁর একান্তই নিজস্ব সিদ্ধান্ত। সে ব্যাপারে তাঁকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। কোনও ভাবেই ভোটারকে প্রভাবিত করা উচিত নয়। তবে যিনি ভোটার, তাঁরও এ ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। কোন সত্যিই তাঁদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবেন, তাঁকে সঠিক ভাবে নির্বাচিত করার বিষয়ে ভোটারেরও চোখ-কান খোলা রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সামনেই ভোট। আমি এর আগেও ভোট দিয়েছি। এ বারও ভোট দেব। আমি কোচবিহারে থেকে পড়াশোনা করি। আমার ভোট কেন্দ্র আলিপুরদুয়ার জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত রায়ডাক চা বাগানে। ভোটের দিন সেখানে গিয়েই আমি ভোট দেব। তবে ভোটকে কেন্দ্র করে রেষারেষি, হানাহানি, রক্তপাত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। এমন অপ্রীতিকর ঘটনা আমাকে বেদনা দেয়। তাই দল থাকবে, ভোট আসবে যাবে, কিন্তু ভোটকে কেন্দ্র করে এই রেষারেষি, রক্তপাত, হানাহানি বন্ধ হওয়া একান্ত জরুরি।

আমি চাই দু’টি দলের মানুষের মধ্যে লড়াই হোক, কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকবে সুস্থ। গত পঞ্চায়েত ভোটে এ ধরনের বেশ কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল এবং প্রশাসনকে সচেষ্ট হতে হবে যাতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো যায়।

আরও একটি বিষয় নজর দেওয়া দরকার। ভোটকে কেন্দ্র করে এক দলকে আর এক দলের বিরুদ্ধে কুৎসা, কাদা ছোড়াছুড়ি করতে দেখা যায়। এটা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। সবার এ বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। দলীয় নির্দেশ এবং সরকারি নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা শুরু করেন। এর প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে ইদানিং। এ সব বন্ধ করে ভোটের সময় সুস্থ পরিবেশ তৈরি হওয়া প্রয়োজন।

এই সুস্থ ভোটই আমার দাবি।

লেখক: স্নাতকোত্তর ইংরেজি পরীক্ষায় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

অনুলিখন: রাজু সাহা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন