করিডর: মালদহ মেডিক্যাল। ফাইল চিত্র
ভাব জমিয়ে ফের এক রোগীর আত্মীয়কে মাদক খাইয়ে সর্বস্ব লুঠের ঘটনা ঘটল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন হাসপাতালে আসা মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল চত্বরে নিত্যদিন মাদক খাইয়ে লুঠের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তাই বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। মাস খানেক আগে এক রোগীর আত্মীয়কে ঠান্ডা পানীয় খাইয়ে পাঁচ হাজার টাকা লুঠ করে পালায় দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনাতেও কেউ গ্রেফতার হয়নি।
মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার থেকে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন পুকুরিয়া থানার সম্বলপুরের বাসিন্দা আঙ্গুরি বিবি। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল চত্বরে মায়ের জন্য রাত জাগছিল তাঁর ছেলে সাম্বার হোসেন। পুকুরিয়ার একটি হাই মাদ্রাসার ওই উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ার সঙ্গে এক যুবকের পরিচয় হয়। মেডিক্যাল কলেজের বহির্বিভাগের সামনে রাতে দুজনে থাকার পরিকল্পনা নেন। অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবক সাম্বারকে চা কিনে খাওয়ায় বলে অভিযোগ। তারপরেই বেঁহুশ হয়ে যান সাম্বার। এ দিন সকালে পরিবারের লোকেরা দেখতে পান তিনি অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, সাম্বারের কাছে থাকা নগদ ১১ হাজার টাকা, একটি দামি মোবাইল ফোন এবং এটিএম কার্ড নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে ওই যুবক।
সাম্বার বলেন, ‘‘সন্ধে থেকেই ওই যুবক আমার সঙ্গে বসে ছিল। আমার মোবাইল ফোন নিয়ে খেলছিল। এমনটা হবে তা ভাবতে পারিনি।’’ ঘটনা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। রোগীর পরিজনদের অভিযোগ, মাত্র মাসখানেক আগেই পানীয়ের সঙ্গে মাদক খাইয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা লুঠ হয়েছিল। বছর দুয়েক আগে একই দিনে ন’জনকে মাদক খাইয়ে সর্বস্ব লুঠের ঘটনা ঘটেছিল মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। কিন্তু সতর্ক হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের সুপার তথা সহ অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, ‘‘অপরিচিত কারও কাছে কিছু খাবেন না বলে প্রচার চালানো হয়। এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন হতে হবে। এছাড়া নিরাপত্তার বিষয়টিও আমরা খুবই গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।’’