স্কুলছুট, বাল্যে বিবাহ রোধে সুফল

এ বারেও মাধ্যমিকে মেয়েদের দাপটই অক্ষুণ্ণ থাকছে কোচবিহারে। আজ, মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:৪৪
Share:

প্রস্তুতি: আজ মাধ্যমিক। সোমবার কোচবিহারের এক স্কুলে সিট নম্বর বসাচ্ছেন দিদিমণি। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

এ বারেও মাধ্যমিকে মেয়েদের দাপটই অক্ষুণ্ণ থাকছে কোচবিহারে। আজ, মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, এ বারে কোচবিহারে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০৫ জন বেশি। এদের মধ্যে অবশ্য গত বছর পাশ নম্বর তুলতে না পারা পরীক্ষার্থীও রয়েছে। তবে গত কয়েক বছর ধরেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীর সংখ্যা ছেলেদের তুলনায় অনেকটাই বেশি।

Advertisement

স্কুলশিক্ষা দফতরের দাবি, মেয়েদের স্কুলছুটের সংখ্যা কমে যাওয়াতেই মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রীর হার বেড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কি ছেলেদের স্কুলছুট বাড়ছে কি না তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ দাবি করেন, “স্কুলছুটের সংখ্যা এখন এক রকম নেই। সে জন্যেই মেয়েদের হার বেড়েছে।” কোচবিহারের জেলাশাসক কৌশিক সাহাও দাবি করেন, স্কুলছুটের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় মাধ্যমিকে ছাত্রীদের হার বেড়ে গিয়েছে।

Advertisement

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কোচবিহারের জেলা আধিকারিক মিঠুন বৈশ্য অবশ্য দাবি করেন, ছাত্র বা ছাত্রী কেউই এখন মাঝপথে পড়াশোনা ছাড়ছে না। তাই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনই মেয়েদের হারও বাড়ছে। তিনি বলেন, “এক সময় মেয়েদের মধ্যে স্কুলছুটের প্রবণতা ছিল। অনেকেরই অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হত। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী সহ সরকারি নানা প্রকল্পে মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি আকর্ষণ বেড়েছে। তার প্রমাণ দেখা যাচ্ছে ছাত্রীদের সংখ্যায়।’’

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা অনুযায়ী কোচবিহারে এক হাজার পুরুষ প্রতি মহিলা ৯২৫ জন। সে ক্ষেত্রে সাত হাজার ফারাক হয় কী করে? প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, শহর বা শহরতলি এলাকার অভিভাবকদের ছেলেদের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করানোর প্রবণতা বেড়েছে। গ্রামের একটি অংশের বাসিন্দাদের ছেলেরা অল্পবয়সে ভিন্‌ রাজ্যে চলে যাচ্ছে কাজের খোঁজে। অনেকে স্থানীয় জায়গাতেও নানা কাজ করছে। এর মধ্যে অষ্টম-নবম শেণিতে পড়া ছাত্ররাও রয়েছে। অর্থাৎ ওই সময় অনেকেই স্কুলছুট হচ্ছে বলে দাবি করছেন অভিভাবকদের একটি অংশ।

এ বার উত্তরের সব জেলাতেই পরীক্ষার সময় কড়া নজরদারি থাকবে। নজর রাখা হবে, যাতে কোনও ভাবেই টুকলি করার সুযোগ কেউ না পায়। ভাল ছাত্রছাত্রীদের জন্য থাকবে সব রকম সাহায্যের ব্যবস্থা। সুষ্ঠু ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসন সব দিক থেকে প্রস্তুত রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন