কৌশিক ভট্টাচার্য।
নির্মীয়মাণ প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে আচমকা রাস্তা খুঁড়িয়ে কাজের মান যাচাই করলেন মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে হবিবপুর ব্লকে। জানা গিয়েছে, এ দিন তিনি হবিবপুর ব্লকেরই তিনটি প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার কাজ পরিদর্শন করেন তিনি। এবং এরমধ্যে দু’টি রাস্তার কাজের মান তিনি রাস্তা খুঁড়িয়ে যাচাই করেছেন। এ ছাড়া বামনগোলা ব্লকের একটি রাস্তার কাজের অ্যালাইনমেন্ট নিয়ে গ্রামবাসীদের আপত্তি থাকায় সেই এলাকা পরিদর্শন করে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
এ দিন বিকেলে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুকান্ত সাহা ও সদর মহকুমা শাসক পার্থ চক্রবর্তীকে সঙ্গে নিয়ে হবিবপুর ব্লকের হবিবপুর পঞ্চায়েত এলাকার মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়ক কানেকশন থেকে পাথর ওলতারা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে আট কিলোমিটার রাস্তার কাজ পরিদর্শনে যান জেলাশাসক। ছিলেন প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা রাস্তা তৈরির দায়িত্বে থাকা ডব্লিউবিএসআরডিএ-র মালদহ জেলার নির্বাহী বাস্তুকার সঞ্জয়কুমার দত্ত। ওই রাস্তাটিতে খরচ হচ্ছে প্রায় চার কোটি টাকা। রাস্তার কাজ প্রায় শেষের পথে। পরিদর্শনে গিয়ে আচমকাই ওই রাস্তার শুরুতে একটি পয়েন্টে রাস্তা খুঁড়তে বলেন জেলাশাসক। সেখানে পিচ, পাথরকুচি ও বালির স্তর ঠিকঠাক রয়েছে কী না তা রীতিমতো ফিতে দিয়ে যাচাই করে দেখেন তিনি। ওই রাস্তারই আরও দুটি পয়েন্টেও তিনি রাস্তা খুঁড়িয়ে একইভাবে কাজের মান যাচাই করেন।
এরপর তাঁরা চলে যান ওই ব্লকেরই আকতৈল পঞ্চায়েতের বাহাদুর মোড় থেকে নরসিংহবাটি পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার নির্মীয়মাণ রাস্তার কাজ দেখতে। সেখানেও একটি পয়েন্টে রাস্তা খুঁড়তে বলেন তিনি এবং কাজের মান সেখানেও মাপজোক করে যাচাই করেন। শেষে তাঁরা যান বামনগোলা ব্লকের জামতলা মোড় থেকে ছোটপাথারি পর্যন্ত রাস্তার কাজ দেখতে। জানা গিয়েছে, ওই রাস্তার অ্যালাইনমেন্ট নিয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তা নিয়ে তিনি স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন। এবং রাস্তাটির কাজ যাতে সুষ্ঠভাবে করা যায় সদর মহকুমা শাসক ও সংশ্লিষ্ট নির্বাহী বাস্তুকারকে তা দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পরে জেলাশাসক বলেন, ‘জেলার সমস্ত উন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রেই আমরা নজর রাখছি। অভিযোগ পেলেই পদক্ষেপ হবে।’’