bengal flood

Maldah Flood: গঙ্গার জলের তোড়ে প্রায় অর্ধ শতক আগে তৈরি বাঁধ ভাঙল মালদহে, প্লাবিত মানিকচক

ইতিমধ্যেই ভূতনি দ্বীপে জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। এই দ্বীপে হিরানন্দপুর, উত্তর চণ্ডীপুর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২১ ১৩:২৬
Share:

নিজস্ব চিত্র।

গঙ্গার জলের তোড়ে নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল মালদহের মানিকচকের বহু এলাকা। কেশবপুরের নদীবাঁধ ভাঙায় ভূতনির চরে বসবাসকারী প্রায় লক্ষাধিক মানুষের জীবন বিপন্ন। ১৯৭৫ সালে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এবিএ গনি খান চৌধুরী নিজের উদ্যোগে ওই বাঁধ নির্মাণ করিয়েছিলেন। তার পর থেকে প্রশাসনের তরফে ওই বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। ফুলহার এবং মহানন্দা নদীর জলস্তরও অনেকটাই বেড়েছে। গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে রতুয়া ১ নম্বর ব্লক ও মানিকচক ব্লকের মোট ২৭টি গ্রাম।

Advertisement

স্থানীয়দের বক্তব্য, মানিকচকের কাছে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা। ইতিমধ্যেই ভূতনি দ্বীপে জল ঢুকতে শুরু করে দিয়েছে। এই দ্বীপে হিরানন্দপুর, উত্তর চণ্ডীপুর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। বছর দুয়েক আগে গঙ্গায় জলস্তর বেড়ে এই বাঁধে ফাটল ধরে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে বাঁধ মেরামতির জন্য কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। জলস্তর বাড়ার পাশাপাশি বর্ষার সময় গঙ্গা দিয়ে প্রায় ৪০ লক্ষ কিউসেক জল প্রবাহিত হয়। বিপুল জলরাশির চাপ সহ্য করতে না পেরে বৃহস্পতিবার রাতে ওই বাঁধের ৫০ মিটার অংশ ভেঙে যায়।

রাতে বাঁধ ভাঙার পরই তড়িঘড়ি বালি ও মাটির বস্তা দিয়ে জল আটকানোর জন্য রিং বাঁধ তৈরির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। কিন্তু সেই কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বর্ষার সময়ে বাঁধ নির্মাণের নামে অর্থ নয়ছয় হয় বলে অভিযোগও করেছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, ব্লক অফিস ও সেচ দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। মানিকচকের গদাইচর ও নারায়ণপুর চর থেকে বন্যা কবলিত মানুষদের সরানোর কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন