Mamata Banerjee

উত্তরবঙ্গ আপন, বললেন মমতা

ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহুবার উত্তরবঙ্গে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও শিলিগুড়ি তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়েছে।

Advertisement

কৌশিক চৌধুরী

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ০২:২২
Share:

নেত্রী: উত্তরবঙ্গ উৎসবে মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার শিলিগুড়িতে। নিজস্ব চিত্র

মানুষে মানুষে ‘ভেদাভেদ’ করতে তিনি দেবেন না। সোমবার দার্জিলিং যাওয়ার পথে শিলিগুড়িতে এক অনুষ্ঠানে এই বার্তাই দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভবত এ বছরের মাঝামাঝি রাজ্য জুড়ে পুরভোট। তখন উত্তরবঙ্গেরও একাধিক পুরসভায় ভোট হওয়ার কথা। বিশেষ করে শিলিগুড়ি পুরসভায় এ বছরই ভোট হবে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যে প্রচারের মুখ করবে এনআরসি, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে, এ দিন সেটাই এই ভাবে স্পষ্ট করে দিলেন মমতা।

Advertisement

ক্ষমতায় আসার পর থেকে বহুবার উত্তরবঙ্গে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরেও শিলিগুড়ি তাঁকে খালি হাতে ফিরিয়েছে। এ বারে লোকসভা ভোটেও আটটির মধ্যে সাতটি আসনে জিতেছে বিজেপি, একটিতে কংগ্রেস। সেই নিয়ে ক্ষোভ, দুঃখ যে তাঁর রয়েছে, সেটা মমতা আগেও জানিয়েছেন। এ দিন দুপুরে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া শিবমন্দিরের খেলার মাঠে উত্তরবঙ্গ উৎসবের সূচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি উত্তরবঙ্গে বারবার আসি। উত্তরকে ভালবাসি। দক্ষিণবঙ্গ আমার ঘর, কিন্তু উত্তরবঙ্গ পর নয়। বরং আমার আপন। এই মাটি সোনার মাটি।’’ তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘এই মাটিতে কোনওরকম ভাগাভাগি করতে দেব না। আমরা সকলেই নাগরিক। আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ বাংলাকে ভালবাসি।’’

পুরসভা হোক বা শিলিগুড়ি গ্রামীণ এলাকার মহকুমা পরিষদ ভোট, তিনি এনআরসি বা সিএএকে সামনের সারিতে যে রাখবেনই, তা স্পষ্ট করে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, ‘‘এখানে সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও প্রতিটি জনগোষ্ঠীর নিজস্বতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যাতে আদিবাসী, নমশূদ্র, রাজবংশী, বাঙালি, অবাঙালি সকলেই সমান মর্যাদা পায়।’’ এর পরে তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গকে ভাগাভাগি করা যাবে না। সকলেই এক। সকলকেই এক হয়ে থাকতে হবে।’’

Advertisement

মাটিগাড়ার শিবমন্দিরের মতো রাজবংশী, কামতাপুরী প্রধান এলাকায় দাঁড়িয়ে নাগরিকপঞ্জির প্রসঙ্গ টেনে তাঁদের পাশে সবসময় থাকার অঙ্গীকারও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গ যে বামেদের সময়ে অবহেলিত ছিল এবং তিনি এসে এই অঞ্চলের উন্নয়নে কাজ করেছেন, তা-ও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের ইচ্ছে ছিল, এখানেও প্রশাসনিক ভবন হোক। আজ ২০ জানুয়ারি শাখা সচিবালয় উত্তরকন্যারও জন্মদিন। উত্তরবঙ্গ সত্যিই অবহেলিত ছিল। আমরা ছ’টির বদলে আটটি জেলা করেছি। উত্তরবঙ্গে এখন ঢেলে কাজ করা হচ্ছে।’’ শীঘ্রই কোচবিহার, মালদহ ও বালুরঘাটে বিমানবন্দর চালু হবে, এই আশ্বাসও দেন তিনি। আরও বলেন, ‘‘মালদহকে আলাদা ডিভিশন করা হয়েছে। মিরিককে মহকুমা, শিলিগুড়িকে কমিশনারেট করা হয়েছে। বাগডোগরায় নাইট ল্যান্ডিং সুবিধাও চালু হয়েছে। সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন