—প্রতীকী চিত্র।
প্রায় ৯০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। অভিযোগ, পাশের বাড়ির এক যুবক গত ২৮ আগস্ট সকালে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, কাউকে জানালে খুন করে দেবেন বলে হুমকিও দিয়েছেন।
ওই কিশোরীর বাবা–মা দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করেন। কিশোরী থাকে দিদিমার কাছে। নিজে থেকে কোনও কাজই করতে পারে না কিশোরী। হাঁটার সময় বুকে ভর দিয়ে এক ঘর থেকে আর এক ঘরে যাতায়াত করতে হয় তাকে। কথা বলাতেও জড়তা রয়েছে। কিশোরীর এই অবস্থারই সুযোগ নিয়ে অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই ২৯ অগস্ট গ্রামে সালিশি সভা বসে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, প্রথমে সাত হাজার টাকায় বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। পরে টাকার অঙ্ক বেড়ে দাঁড়ায় ৪০ হাজার। কিন্তু দিল্লিতে থাকা নির্যাতিতার বাবা–মা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তাঁরা আপস চান না। অপরাধীর সাজা চান। এর পর মঙ্গলবার গভীর রাতে পুলিশ কিশোরীকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানকার মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। বুধবার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। শুক্রবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পায় নির্যাতিতা।
তবে ঘটনার পর ছ’দিন কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত এখনও পলাতক। ডিএসপি সদর বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।